আক্তরুজ্জামান : দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানোর পর টাইগারদের আত্মবিশ্বাস এখন তুঙ্গে। এবার নিউজিল্যান্ড, গত বিশ্বকাপে যাদের ধরাশায়ী করেছে বাংলাদেশ। পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিনে অর্থাৎ ৫ জুন কিউইদের মোকাবিলা করবে লাল-সবুজের দেশ। সেদিন আরো উজ্জ্বল থেকেই নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে দেশবাসিকে ‘জয়’ ঈদ উপহার দিতে চান মাশরাফিরা।
ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানোর মাঠ দ্য ওভালেই। ওইদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে মাঠে নামবে স্টিভ রোডসের শিষ্যরা। একইদিন বিকাল সাড়ে ৩টায় তৃতীয় ম্যাচ খেলতে নামবে দক্ষিণ আফ্রিকা। তাদের মোকাবেলা করতে প্রথম মাঠে নামবে ভারত। দুদলের ম্যাচটি হবে হ্যাম্পশায়ারের মাঠে।
এর আগে আজ একটি ম্যাচ মাঠে গড়াবে। দুই আহত দলের লড়াই বলা যায় আজকের ম্যাচটিকে। কার্ডিফের সোফিয়া গার্ডেনে মুখোমুখি হবে এশিয়ার দুই ক্ষুধার্ত দল আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। দিনের একমাত্র ম্যাচে বিকাল সাড়ে ৩টায় শুরু হবে ম্যাচটি।
এখন আসা যাক বাংলাদেশের ম্যাচে। দেশবাসীর ঈদের আনন্দ বাড়াতে ওইদিন মাঠে নেমে ভালো কিছুই উপহার দিবেন মাশরাফি। প্রথম ম্যাচে জয়র পর সংবাদ সম্মেলনে এসে এমন বার্তায় দিয়েছেন। টাইগার শিবিরে যে উচ্ছ্বাস বিরাজ করছে সে উচ্ছ্বাসে কেন উইলিয়ামসনরা হারলে অবাক হওয়ার কিছুই থাকবে না। কেননা ২০১৫ বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডকে হারানোর সুখকর অভিজ্ঞতা আছে টাইগার সেনাদের।
তাছাড়া সাকিব, মুশফিক, সৌম্য, মুস্তাফিজ ও সাইফউদ্দীনরা আছেন দুর্দান্ত ফর্মে। মিরাজ তো নিজের ভেলকি খুব ভালোভাবেই দেখিয়েছেন। মাঠে শতভাগ ঢেলে দেওয়ার যে প্রবণতা মিরাজের মধ্যে আছে সেটা দলকে অনেক সামনে নিয়ে যায়। ব্যাটে-বলে ও ফিল্ডিংয়ে যেন মিরাজ অন্যরকম ত্রাণকর্তা।
আর বারবার যার নাম আড়ালে থেকে যায় তার কথা এবার একটু বলতেই হয়। তিনি বাংলাদেশ দলের ‘আনসাং হিরো’ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ঐতিহাসিক বিজয়ের দিনেও তিনি ছিলেন উজ্জ্বল এক মুখ। শেষ ১০ ওভারে একশ পেরোনো স্কোর উপহার দিতে মূল ভূমিকায় ছিলেন তিনি। তার উপর ভরসা করে শেষের দিকে আসা রানেই তো জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছিল বাংলাদেশ দলের ওরা ১১জন।
বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষের ঈদের দিনকে আরও আনন্দময় করার পুরো দায়িত্বটাই যে এখন মাশরাফিদের ওপর। ঈদের দিন সন্ধ্যায় লন্ডনের দ্য কেনিংটন ওভালের দিকে তাকিয়ে থাকবে প্রায় ৩০ কোটি চোখ।