আসিফুজ্জামান পৃথিল : যুক্তরাষ্ট্রের সব ধরণের হুমকি ও চাপ উপেক্ষা করে রাশিয়ার তৈরী অত্যাধুনিক বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের এস-৪০০ এর প্রথম চালান বুঝে নিয়েছে তুরস্ক। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ নিয়ে ওয়াশিংটন এবং আঙ্কার মধ্যকার টানাপড়েন আরো বৃদ্ধি পাবে। ন্যাটো সদস্যভুক্ত দেশ হয়েও এতে মার্কিন এফ-৩৫ থেকে বঞ্চিত হতে পারে তুরস্ক। সিএনএন, বিবসি।
তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশটির মুরতেদ বিমান ঘাঁটিতে এই চালান এসে পৌঁছেছে। সম্পূর্ণ আকাশপথেই এসেছে এই চালান। রাশিয়ার সামরিক সূত্রের বরাত দিয়ে দেশটির সরকারি বার্তা সংস্থা তাস জানিয়েছে, আরো একটি উড়োজাহাজ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যাটারি নিয়ে যেকোন সময় উপস্থিত হবে। এই সূত্রটি জানিয়েছে তৃতীয় আরো একটি চালান প্রস্তুত করা হচ্ছে। এতে থাকবে ১২০টি বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র। এই চালানটি গ্রীস্মের শেষে সাগরপথে পাঠানো হবে।
তাস আরো জানিয়েছে, তুরস্কের এস-৪০০ অপারেটররা জুলাই এবং আগস্ট মাসে রাশিয়ায় গিয়ে বিশেষ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করবেন। গত মে ও জুন মাসে ২০ জন অপারেটর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছিলেন। সাম্প্রতিক সময়ে রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের সঙ্গে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোগানের সম্পর্ক নতুন মাত্রা পেয়েছে। ফলশ্রুতিতে ঐতিহ্যবাহী মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের ব্যাপক অবনতি হয়েছে তুরস্কের।
যুক্তরাষ্ট্র আগে থেকেই সতর্ক করেছে, ন্যাটো মিত্র হওয়ার পরেও তুরস্ক এস-৪০০ কিনলে এর ফল ভালো হবে না। আগেও চুক্তি অনুযায়ী তুরস্ক এফ-৩৫ তো পাবেই না, বরং দেশটির উপর বিভিন্ন পর্যায়ের অবরোধ আরোপ করা হবে। এরপরেও তুরস্ক এস-৪০০ এর বিষয়ে নিজেদের অবস্থান বদলায়নি। এস-৪০০কে বলা হচ্ছে বিশে^র সবচেয়ে আধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। ইতোমধ্যে তুরস্ক ছাড়াও চীন ও ভারত এই ব্যবস্থা ক্রয় করেছে। তুরস্কের আগে এস-৪০০ বুঝে পেয়েছে চীন। সম্পাদনা : ইকবাল খান