আমিরুল ইসলাম : প্রশাসন ক্যাডার কর্মকর্তাদের জন্য স্বতন্ত্র ব্যাংক গঠন এবং একটি বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের প্রস্তাব করেছেন জেলা প্রশাসকরা (ডিসি)। ডিসিদের অধীনে বিশেষায়িত পুলিশ ফোর্স গঠন ও জেলায় কর্মরত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়ার এখতিয়ার ডিসিদের প্রদান। এসব বিষয়সহ বিভিন্ন জেলার ডিসিদের পাঠানো ৩৩৩টি প্রস্তাব উঠছে ১৪ জুলাই অনুষ্ঠেয় পাঁচ দিনব্যাপী ডিসি সম্মেলনে। ডিসিদের দাবিগুলোর যৌক্তিকতা আছে কিনা জানতে চাইলে রাষ্ট্রবিজ্ঞানী এমাজউদ্দীন আহমদ বলেছেন, প্রশাসন ক্যাডার কর্মকর্তাদের জন্য স্বতন্ত্র ব্যাংক গঠন ও বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনসহ অন্যান্য প্রস্তাবগুলো একটি স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক দেশের জন্য একেবারে বেমানান।
তিনি বলেন, বিডিআর একটি ব্যাংক নিয়েছে, সামরিক বাহিনী ও ব্যাংক নিয়েছে। এখন কথা হলো এরা পিছিয়ে থাকবে কেন? প্রফেশনাল গ্রুপ যারা তাদের এসব দাবি মানায় না। এ দাবিগুলো উত্থাপন করার অর্থ হলো যে দায়িত্ব পালন করার জন্য তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে তারা সে দায়িত্ব পালন করছে না। এতোদিন ধরে তারা সাধারণ মানুষের আয়ের অংশ ভোগ করে এ পর্যন্ত এলেন তারা সেটা ভুলে গেছেন। তারা যখন এসব দাবি উত্থাপন করছেন তখন এসব কোথায় আছে সেটা তাদের কাছে জানতে চাওয়া প্রয়োজন। সাধারণ মানুষ এটা জানতে চাইতে পারে, কারণ তাদের অর্থ দিয়েই ডিসিদের বেতন দেয়া হয়। গণমাধ্যম কর্মীদেরও এ বিষয়ে তাদের প্রশ্ন করা উচিত, এই ব্যাপারগুলো কোন দেশে আছে এবং কি কারণে তাদরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজন? ডিসিদের প্রশিক্ষণ দেয়ার জন্য দেশে-বিদেশে বিভিন্ন রকমের সুযোগ-সুবিধা দেয়া হচ্ছে। তাদের বর্তমানে যেসব সুবিধা দেয়া হচ্ছে এটাও কম নয়। এটা ইম্প্রুভ করার প্রয়োজন হতে পারে, কিন্তু তার জন্য একেবারে একটা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন হতে পারে না। এদেশ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভারাক্রান্ত। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে একশটিরও বেশি, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে প্রায় চল্লিশটির মতো। সুতরাং নতুন বিশ্ববিদ্যালয় করে কারা পড়াশোনা করবে? এতো ছাত্র এদেশে জন্মায় না।