আমিরুল ইসলাম : জগন্নাথ বিশ^বিদ্যায়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেছেন, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের পরে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের পতন হয়েছে। সামরিক শাসক জিয়াউর রহমানের পর তার শাসনামল ছিলো মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে। যে দেশের মানুষ লাখো প্রাণ দিয়ে এদেশকে স্বাধীন করেছিলো মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করার জন্য সেখানে জিয়ার-এরশাদের ভূমিকা ছিলো অগ্রহণযোগ্য। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থার বদলে এরশাদের স্বৈরতান্ত্রিক শাসন কায়েম করেছিলেন, যা কারও কাম্য ছিলো না। কিন্তু যা মানুষের প্রত্যাশা ছিলো না, অগণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে, স্বৈরাচারী শাসকদের বিরুদ্ধে ছিলো সেখানে জিয়া-এরশাদ আমাদের রাজনীতিকে কলুষিত করলেন। এটা কোনোভাবে গ্রহণ করার মতো মানসিক প্রস্তুতি ছিলো না এদেশের মানুষের পক্ষে, এখনো নেই। তিনি আরও বলেন, নব্বইয়ের পরে এরশাদ আওয়ামী লীগের সঙ্গে ছিলেন। প্রগতিশীল রাজনীতিকে সমর্থন করার ফলে এদেশের মানুষ কিছুটা উপকৃত হয়েছে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, এরশাদের কৃতকর্ম বৈধতা দিলো তার এই সমর্থনে। অবৈধ শাসনামলে এরশাদ যা করেছেন তার দায় তিনি এড়াতে পারবেন না।