মো. হানিফ ও মনোয়ার হোসেন : গতকাল সোমবার বেলা পৌনে বারোটার দিকে কুমিল্লা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৩য় আদালতের বিচারক বেগম ফাতেমা ফেরদৌসির আদালতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ফারুক কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার কাদি গ্রামের অহিদ উল্লাহর ছেলে। অভিযুক্ত হাসান লাকসাম উপজলার ভাজপাড়া গ্রামের শহিদ উল্লাহর ছেলে।
মামলার আইনজীবী এপিপি নুরুল ইসলাম জানান, ২০১৩ সাল কুমিল্লার মনোহরগঞ্জের কাদি গ্রামে হাজী আবদুল করিম হত্যার ঘটনা ঘটে। গতকাল ওই মামলার জামিনে থাকা আসামিদের হাজিরার দিন নির্ধারিত ছিলো। বেলা পৌনে বারোটার দিকে এ মামলার আসামিরা আদালতে প্রবেশের সময় ৪নং আসামি ফারুককে ছুরি নিয়ে তাড়া করে ৮নং আসামি হাসান। এ সময় জীবন বাঁচাতে ফারুক বিচারকের খাস কামরায় প্রবেশ করেন। হাসান সেখানে ঢুকে টেবিলের ওপর ফেলে ফারুককে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে। এ সময় আদালতে অন্য একটি মামলার হাজিরা দিতে আসা কুমিল্লার বাঙ্গরা থানার এএসআই ফিরোজ এগিয়ে গিয়ে হাসানকে আটক করে। গুরুতর আহত ফারুককে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
আদালতের পুলিশ পরিদর্শক সুব্রত ব্যানার্জি জানান, অভিযুক্ত হাসানকে আটকসহ তার কাছ থেকে একটি ছোরা উদ্ধার করা হয়েছে।
মামলার আইনজীবী অ্যাড. নুরুল ইসলাম বলেন, ঘাতক আমাকেও ছুরি নিয়ে তাড়া করে। আদালতে একটি মামলার সাক্ষী দিতে আসা এএসআই ফিরোজ ও আমার সহকর্মী অ্যাড. সোমার সহযোগিতায় আমি প্রাণে বেঁচে যাই।
বিচারক বেগম ফাতেমা ফেরদৌস বলেন, আমার সামনে একজন আসামিকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হলো। আমার ওপরও হামলা হতে পারতো। আমি ভীষণ শঙ্কিত। আমাদের নিরাপত্তা কোথায়?
পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম বলেন, এত নিরাপত্তার মাঝেও আসামির ছুরি নিয়ে আদালতে প্রবেশের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান