রফিক আহমেদ : বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি(সিপিবি)র সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেছেন, ডেঙ্গুতে মানুষের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে লুকোচুরি হচ্ছে। এ কারণই সরকারি ও বেসরকারির হিসেবে ফারাক অনেক বেশি। ডেঙ্গু মশার সংকট থেকে বাঁচতে হলে আমাদের ৩৬৫ দিনেরই কর্মসূচি হাতে নিতে হবে। একই সাথে এসব কর্মসূচির বিজ্ঞানভিত্তিক বাস্তবায়নে সকরকেই ভূমিকা নিতে হবে। গতকাল রোববার পার্টির পুরানা পল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এসব এরপর পৃষ্ঠা ৭, সারি
(শেষ পৃষ্ঠার পর) কথা বলেন। সিপিবি’র কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, এডিস মশা প্রতিরোধে সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্তরা ব্যর্থ হলে তাদের ব্যাপারে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। একই সাথে এবারের সংকটের সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বিদেশ যাত্রা, মেয়র, কাউন্সির ও অন্যান্য মন্ত্রীদের হাস্যকর ভূমিকা আমরা দেখেছি। তা যেন আর কখনো দেখতে না হয়- সে বিষয়ে সকরকে সচেতন ও দায়িত্বশীল হতে হবে।
তিনি বলেন, এবারের ডেঙ্গুর দুর্যোগ মোকাবেলায় আমাদের যে ব্যর্থতা প্রকাশ পেলো ভবিষ্যতে আরো বড় সংকট উত্তোরণে এখন থেকেই প্রস্তুতি রাখা প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। বিষেজ্ঞদের তথ্য মতে, সেপ্টেম্বর ও আগস্ট মাসেও ডেঙ্গুর মহামারি হতে পারে। এ সময়ে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আমাদের প্রস্তুতি আরো বাড়ানো দরকার। একই সাথে ডেঙ্গু মশার উৎপত্তি, বিস্তার নিয়ন্ত্রণে দেশীয় বিজ্ঞানীদের গবেষণা বাড়ানো ও সে মতো ভূমিকা পালনের জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি হয়ে পড়েছে। আসল কথা হলো দেশের মানুষকে বাঁচাতে তার স্বাস্থ্য সুরক্ষাকে প্রধান্য দিয়েই সব কাজকে ঢেলে সাজাতে হবে।
তিনি আরো বলেন, ইতোমধ্যে অনেকে দায়িত্বশীল আচরণের চেষ্টা করছেন। এমনকি হাইকোর্টকেও ডেঙ্গু মশা মারার ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে। এছাড়াও সিপিবি, যুব ইউনিয়ন, ছাত্র ইউনিয়ন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামরিক সংস্থার সংগঠন মানুষের মাঝে সচেতনতা তৈরি, রোগীদের শুশ্রুষাা ও রক্ত জোগাড়ে প্রচেষ্টা নিয়েছে। সাধারণ মানুষের মানবিক ভূমিকা বেড়েই চলেছে। সম্পাদনা : সমর চক্রবর্তী