শাহীন খন্দকার : গতকাল সোমবার ছিল ঈদের ৮ম দিন। রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে ছিল ঈদের আগের সেই চিরচেনা দৃশ্য। শত শত মানুষ অপেক্ষা করছেন গন্তব্যে যাওয়ার জন্য। কিন্তু ট্রেনের দেখা নেই। শিডিউল বিপর্যয়ের কারণে ট্রেন পরের দিনও ছেড়ে গেছে। কিন্তু ঈদের আগের সেই শিডিউল বিপর্যয় ঈদের পরেও থাকবে এমনটি মানতে পারছেন না যাত্রীরা। এ কারণে ঈদের সময় সাধারণত শিডিউল বিপর্যয় দেখা দেয়, ভোগান্তিতে পড়তে হয় যাত্রীদের। তাই অনেকে আছেন সেই ভোগান্তি থেকে বাঁচতে ঈদের পরে বাড়ি যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। ঈদের ৮ম দিন তারাই এসেছেন কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে। কিন্তু ঈদের পরও সেই পুরোনো দৃশ্য।
কমলাপুর স্টেশনের স্টেশন ম্যানেজার মোহম্মদ আমিনুল হক বলেন, গতকাল কমলাপুর স্টেশন থেকে ৩৪টি আন্তঃনগর ও তিনটি স্পেশাল ট্রেন ছেড়ে গেছে। তবে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলগামী দু-একটি ট্রেন বাদে অধিকাংশ ট্রেনই শিডিউল অনুযায়ী ছেড়ে গেছে। গতকালও দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে যাওয়া যাত্রীদের ভিড় ছিলো। তবে ভিড় থাকলেও যাত্রীদের ভোগান্তি নিয়ে কারো কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
এদিকে রাজশাহী, খুলনা, দিনাজপুর, রংপুরগামী ট্রেনগুলো বিলম্ব হওয়ার অন্যতম কারণ ঢাকামুখী যাত্রীদেও চাপ যেমন রয়েছে, তেমনি বন্যাজনিত কারণে গাইবান্ধার শান্তাহার হতে কাউনিয়া সেকশনের মেরামত কাজ সম্পন্ন হলেও ৯০ কিমি গতি না তুলে ৭০ কিমি বেগে ট্রেন চলছে দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য। যার ফলে পশ্চিমাঞ্চল থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনগুলো কমলাপুর স্টেশনে আসতে বিলম্ব হচ্ছে বলেই শিডিউল বিপর্যয় হচ্ছে।
ধুমকেতু এক্সপ্রেস সকাল ৬টায় ছাড়ার কথা থাকলেও শিডিউল বিপর্যয়ের কারণে ছেড়েছে দুপুর ১.৪৫ মিনিটে, খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেসসহ প্রতিটি ট্রেন ছেড়েছে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে ৭ থেকে ১০ ঘণ্টা বিলম্বে। এদিকে রাজশাহীর বনলতা এক্সপ্রেস কমলাপুর থেকে ১টা ১৫ মি. ছাড়ার কথা থাকলেও ছেড়েছে ২টা ২০ মিনিটে। সুন্দবন এক্সপ্রেস ভোর ৬টা ২০ মি. কমলাপুর থেকে ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও ১টা ৪০ মি. ছেড়ে গেছে।
এছাড়া লালমনিরহাট ঈদ স্পেশাল ৯.১৫ মিনিটে ছাড়ার কথা থাকলেও তা ছেড়ে যায় ১টা ১০ মি.। তবে রেল কর্তৃপক্ষ বলছেন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ এলাকার বেশ কটি ট্রেন বিলম্বে রয়েছে, এবং রাজধানীগামী যাত্রীদের অতিরিক্ত চাপের কারণে এবং বিভিন্ন স্টেশনগুলোতে রেল ক্রসিং বিলম্ব হচ্ছে বলে জানান। ফলে যথাসময়ে গন্তব্যে ট্রেন পৌঁছাতে বিলম্ব হওয়াকেই দাবি করেনÑট্রেন শিডিউল বিপর্যের অন্যতম কারণ। সম্পাদনা : রেজাউল আহসান