আসিফুজ্জামান পৃথিল : বরিস জনসন ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে স্বাক্ষাৎ করে জানিয়েছেন, তিনি ব্রেক্সিট আলোচনার বিষয়ে ভীষণভাবে আশাবাদী। ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট জিয়ান-ক্লাউদে জঙ্কারের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজনে অংশ নিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী আবারও জোর দিয়ে জানিয়েছেন, ব্রেক্সিটের সময়সীমা বাড়ানোর যেকোনো প্রস্তাব যুক্তরাজ্য প্রত্যাখান করবে। বিবিসি
জুলাই মাসে বরিস জনসন ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের দায়িত্ব নেয়ার পর এই দুই শীর্ষ নেতা প্রথমবারের মতো পরস্পরের মুখোমুখি হলেন। মধ্যাহ্নভোজনের পর কোনো চুক্তির সম্ভাবনা রয়েছে কিনা এই প্রশ্নর বিষষয়ে জঙ্কার বলেন, ‘দেখা যাক।’ আর ব্রেক্সিট আলোচনার বিষয়ে আশাবাদী কিনা এই প্রশ্নের জবাবে বরিস বলেন, তিনি এই বিষয়ে ‘সচেতন’। ব্রাসেলসে নিযুক্ত বিবিসির প্রতিবেদক অ্যাডাম ফ্লেমিং জানিয়েছেন, যুক্তরাজ্যের প্রস্তাবনা ইউরোপীয় ইউনিয়নের কর্মকর্তাদের সন্তুষ্ট করতে পারেনি। তিনি জানিয়েছেন, একটি চুক্তিতে আসার বিষয়ে ব্রাসেলস এখনও সন্দিহান। গত সপ্তাহে ব্রিটিশ এমপিরা এটি বিল পাশ করেছেন যে অনুযায়ী ১৯ অক্টোবরের মধ্যে কোনো ব্রেক্সিটবিষয়ক চুক্তি না হলে বরিসকে আরেকদফা ব্রেক্সিট সময়সীমা বাড়াতে ইইউ এর কাছে অনুরোধ করতে হবে।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর অবস্থান হলো আমরা আইনকে সম্মান করবো। কিন্তু পরিস্থিতি যাই হোক আমরা ৩১ অক্টোবর ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগ করছি।’ ক্ষমতায় আমার পর থেকেই সময়মতো ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগের জেদ অটুট রেখেছেন বরিস জনসন। এজন্য রানিকে দিয়ে পার্লামেন্টকে পর্যন্ত স্থগিত করিয়েছেন তিনি। সম্পাদনা : ইকবাল খান