ইসমাঈল ইমু : রাষ্ট্রপতি ও সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক মোঃ আবদুল হামিদ মঙ্গলবার বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ঘাঁটি বঙ্গবন্ধুতে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড প্রদান করেন। রাষ্ট্রপতি বিমান বাহিনী ঘাঁটি বঙ্গবন্ধুর কুচকাওয়াজ চত্বরে এসে পৌঁছালে বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত এবং বঙ্গবন্ধু ঘাঁটির এয়ার অধিনায়ক এয়ার ভাইস মার্শাল মো. সাঈদ হোসেন তাকে স্বাগত জানান। আন্ত:বাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এ তথ্য জানিয়েছে।
১৯৭১ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর ভারতের ডিমাপুরে একটি এ্যালুয়েট হেলিকপ্টার, একটি ডিসি-৩ ড্যাকোটা ও একটি অটার এবং কতিপয় দু:সাহসী বৈমানিক ও বিমানসেনা নিয়ে গড়ে উঠে বর্তমান বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর নিউক্লিয়াস ‘কিলোফ্লাইট’।
ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে প্রথমে রাষ্ট্রপতি বিমান বাহিনী ঘাঁটি বঙ্গবন্ধুর কুচকাওয়াজ চত্বরে অনুষ্ঠিত সুসজ্জিত কুচকাওয়াজ উপভোগ করেন। কুচকাওয়াজে নেতৃত্ব দেন উইং কমান্ডার মাসুদুর রহমান। ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড প্রদান শেষে জাতীয় পতাকাকে সম্মান প্রদর্শন করা হয়। এ সময় জাতীয় ও বিমান বাহিনীর পতাকাসহ বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর দুইটি হেলিকপ্টার এক মনোজ্ঞ ফ্লাগ পাসে অংশগ্রহণ করেন। পরে ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড সমুন্নত রাখার জন্য মোনাজাত করা হয়। রাষ্ট্রপতি বিমান বাহিনীর সকল স্তরের সদস্যদের উদ্দেশ্যে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, মহান ¯¦াধীনতাযুদ্ধে বিমান বাহিনী সদস্যদের সাহসিকতাপূর্ণ অবদান জাতি চিরদিন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।
বক্তব্য শেষে প্যারেড কর্তৃক রাষ্ট্রপতিকে রাষ্ট্রপতি সালাম ও তিনবার জয়ধ্বনি প্রদান করা হয়। রুট মার্চ শেষে, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ফাইটার ও পরিবহন বিমান কর্তৃক ফ্লাইং ডিসপ্লে (স্মোকপাস) অনুিষ্ঠত হয়। সম্পাদনা : খালিদ আহমেদ, ইকবাল খান