ইসমাঈল ইমু : বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার তদন্ত শেষ করেছে পুলিশ। আগামী দু’একদিনের মধ্যেই আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়া হবে। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ-ডিবি সূত্র জানায়, এ পর্যন্ত মামলার এজাহারভুক্ত ১৯ আসামির মধ্যে ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এজাহার বহির্ভূত ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই ২১ জনের মধ্যে ৭ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এছাড়া হত্যাকা-স্থল বুয়েটের শেরেবাংলা হলের ক্যান্টিন বয়, শিক্ষক, গার্ডসহ কয়েকজন ১৬১ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। এ হত্যাকা-ের ঘটনায় নিহতের বাবা বরকত উল্লাহ বাদি হয়ে চকবাজার থানায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
চার্জশিটে যাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে তাদের মধ্যে রয়েছেন বুয়েট ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার, ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, ইফতি মোশাররফ সকাল, উপ-সমাজসেবা সম্পাদক মোজাহিদুল ইসলাম ওরফে মোজাহিদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন, বুয়েট ছাত্রলীগ নেতা মনিরুজ্জামান মনির, ইশতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, অমিত সাহা, মিজানুর রহমান ওরফে মিজান, শামসুল আরেফিন রাফাত, এএসএম নাজমুস সাদাতসহ আরও অন্তত ১০ জন রয়েছেন।
ভারতের সঙ্গে চুক্তির বিরোধিতা করে গত ৫ অক্টোবর বিকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন ফাহাদ। এর জের ধরে ৬ অক্টোবর রাতে শেরেবাংলা হলের নিজের কক্ষ থেকে তাকে ডেকে নিয়ে ২০১১ নম্বর কক্ষে বেধড়ক পেটানো হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পিটুনির সময় নিহত আবরারকে ‘শিবিরকর্মী’ হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা চালায় খুনিরা। তবে আবরার কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না বলে নিশ্চিত করেছেন তার পরিবারের সদস্যসহ সংশ্লিষ্টরা। সম্পাদনা : রমাপ্রসাদ বাবু