ইউসুফ বাচ্চু : ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর মুক্তিযোদ্ধা ও সৈনিক হত্যাকা-ে জড়িতদের বিচারের দাবি জানিয়েছে খালেদ মোশাররফের কন্যা ও খালেদ মোশাররফ বীর উত্তম ট্রাস্টের চেয়ারম্যান মাহজাবিন খালেদ।
গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে মুক্তিযোদ্ধা ও সৈনিক হত্যা দিবস উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন ও অভিমত প্রকাশ অনুষ্ঠানে এ দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে মাহজাবিন খালেদ বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানকে হত্যার পর খন্দকার মোশতাক ক্ষমতা দখল করলেও খুনি ফারুক, রশিদ, ডালিম, নূর চক্র বঙ্গভবনে অবস্থান নিয়ে দেশের ক্ষমতার অধিকারী হয়ে ওঠে। ফলে সেনাবাহিনীতে চেইন অব কমান্ড পুরোপুরি ভেঙে পড়ে। দেশের সংকটময় মুহূর্তে ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর একটি সামরিক অভিযানের নেতৃত্ব দিয়ে খুনি মোশতাককে ক্ষমতাচ্যুত করেছিলেন খালেদ মোশাররফ। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের শায়েস্তা করে সেনাবাহিনীর চেইন অব কমান্ড ফিরিয়ে আনাই ছিল তার লক্ষ্য।
তিনি বলেন, আপনারা জানেন, কোন্ পরিস্থিতিতে মুক্তিযুদ্ধের লড়াকু সৈনিক খালেদ মোশাররফ বীর উত্তমকে হত্যা করা হয়। খালেদ মোশাররফ কখনোই কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না।
৭ নভেম্বরে মুক্তিযোদ্ধা ও সৈনিক হত্যাকারীদের বিচার দাবি করে মাহজাবিন খালেদ বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন বিচারবঞ্চিত ভুক্তভোগী। তিনি বিশ্বাস করেন, বিচার পাওয়ার অধিকার সবার আছে। যিনি বহু চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে এবং দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের বিচারের আওতায় এনে জাতিকে কিছুটা হলেও কলঙ্কমুক্ত করেছেন। তিনি নিশ্চয়ই মুক্তিযুদ্ধের বীর সেনানীদের হত্যাকা-ের বিচারের ব্যবস্থা করবেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, কর্নেল নাজমুল হুদার (বীর বিক্রম) কন্যা নাহিদা হুদা, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু ওসমান চৌধুরীর কন্যা নাসিম ওসমান কবির চেীধুরী তন্ময় প্রমুখ। সম্পাদনা : ভিকটর কে. রোজারিও