লাইজুল ইসলাম : মিসর, আরব আমিরাত, আফগানিস্তান ও তুরস্ক থেকে পেঁয়াজ আমদানির ঘোষণা দেয়ার পরপরই পেঁয়াজের বাজারে প্রভাব পরতে শুরু করেছে। সোমবার পেঁয়াজের দাম এক লাফে কমে যায় ৩০ থেকে ৪০ টাকা। মঙ্গলবার তা আরও কমে। কেজি প্রতি কমে যায় আরো ২০ থেকে ৩০ টাকা। এতে পাইকারি বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম দাঁড়ায় ১৭০ থেকে ১৯০ টাকায়। কিন্তু পেঁয়াজের দাম কমলেও বিপাকে পরেছে পাইকারি ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, দাম কমেছে কিন্তু ক্রেতা নেই। এত দাম দিয়ে ক্রেতারা পেঁয়াজ কিনতে চাইছেন না বলেও মন্তব্য করেন ব্যবসায়ীরা।
সকালে কারওয়ান বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, মঙ্গলবারও পেঁয়াজের পাইকারি বাজারে দাম আরও কিছুটা কমেছে। দেশি পেঁয়াজ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকার নিচ। মিয়ানমার ও মিসরের পেয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকার নিচে। এছাড়া চায়না পেয়াজেরও দাম কমেছে।
এদিকে পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম কমলেও তেমন প্রভাব পড়েনি এলাকাভিত্তিক দোকানগুলোতে। কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ২০০ টাকা দরে। অভিজাত এলাকায় একই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা কেজিতে।
ক্যাবের সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, প্রতি বছর যে পরিমাণ পেঁয়াজ উৎপাদন হয় তা সংরক্ষণ করা হলে এই সংকটের ঘটনা ঘটতো না। তবে তিনিও মনে করেন পেঁয়াজের দাম বাড়ার পেছনে অবশ্যই ব্যবসায়ীদের হাত রয়েছে।
শ্যামবাজারের ব্যবসায়ী নেতা সামসুর রহমান বলেন, মিয়ানমারের পেঁয়াজ আমদানি ও বিমানে পেঁয়াজ আমদানির কথা শুনে বাজারে ক্রেতা আসা বন্ধ হয়ে গেছে। কেনা দামের চাইতে ১০ টাকা কমেও বিক্রি করা যাচ্ছে না পেঁয়াজ। কোনও ধরনের কারসাজি করে পেঁয়াজের দাম বাড়ায়নি মজুদদাররা বলেও দাবি করেন এই ব্যবসায়ী নেতা।
এই দু’জনই বলেন, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে পেঁয়াজের দাম নাগালের মধ্যে চলে আসবে। দেশের নতুন পেঁয়াজ উঠতে শুরু করেছে। পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে। কৃষকের কাছে যে পেঁয়াজ মজুদ আছে তাও বাধ্য হয়ে বের করতে হবে। সব মিলিয়ে আগের দামে চলে আসবে পেঁয়াজের বাজার।
বাজারে এখনো পেঁয়াজের দাম ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে আসেনি বলে জানান ক্রেতারা। সকালে সালেহা বেগম নামে এ ক্রেতা জানান, পেঁয়াজ ছাড়াই রান্নার কাজ চালাতে হচ্ছে। খুব প্রয়োজন হলে আড়াইশো গ্রাম করে পেঁয়াজ কিনেন বলে জানান। এদিকে দিনমজুর আবুল কাশেম জানান, এত দাম দিয়ে পেঁয়াজ কেনা সম্ভব নয়। তাই বউকে বলছি পেয়াজ ছাড়া রান্না করতে। দাম কমলে পেঁয়াজ খাবো বলেও জানান তিনি। সম্পাদনা : ভিক্টর কে. রোজারিও