ইসমাঈল ইমু : ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা আর বর্ণিল আয়োজনের মধ্য দিয়ে পার্বত্য খাগড়াছড়িতে ঐতিহাসিক পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তির ২২বছর পূর্তি উদযাপিত হয়েছে। সোমবার সকাল ১০টার দিকে খাগড়াছড়ি রিজিয়ন ও জেলা পরিষদের আয়োজনে অত্র অঞ্চলের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ, ব্যবসায়ী ও সুশীল সমাজের অংশগ্রহণে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণ থেকে শুরু করে টাউন হলে গিয়ে শেষ হয়।
খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ মাঠ প্রাঙ্গনে শান্তির প্রতীক পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে শান্তিচুক্তির ২২তম বর্ষপূর্তির উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি খাগড়াছড়ির সংসদ ও ট্রাস্কফোর্স চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা। এসময় খাগড়াছড়ি সেনা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. ফয়জুর রহমান, খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী, খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস, ডিজিএফআই কমান্ডার কর্ণেল নাজিম উদ্দীন, খাগড়াছড়ি বিজিবি সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল সাজ্জাদ, খাগড়াছড়ি সদর জোন কমান্ডার ল্যা. কর্ণেল আরাফাত, খাগড়াছড়ি ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার এমএম সালাহ উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন ও উন্নয়নে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, পার্বত্য শান্তিচুক্তির পূর্ব ও পরবর্তী অনেক পরিবর্তন হয়েছে। সরকার চুক্তি বাস্তায়নের মধ্য দিয়ে দেশের উন্নয়নের স্রোতধারার সাথে পার্বত্যবাসীকে সম্পৃক্ত করতে চায়। শেখ হাসিনার সরকার শান্তিচুক্তি করে পাহাড় ও সমতলের বৈষম্য দূর করতে সক্ষম হয়েছে। আজ সমতল থেকে দলে দলে মানুষ আসছে পাহাড়ের সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে। এখানে পর্যটন শিল্পের বিকাশ শান্তিচুক্তিরই ফসল। একটি ক্ষুদ্র গোষ্ঠী এ চুক্তির বিরোধীতা করে পাহাড়ে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে তাদেরকে প্রতিহত করতে হবে। সম্পাদনা : ইকবাল খান