একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্ত। অপরজন রাজাকার শিরোমণি এবং বন্দি। অথচ রাষ্ট্রের ‘ট্রিটমেন্ট’ দেখুন। পুত্র অভিজিৎ রায় হত্যার বাদী অধ্যাপক অজয় রায়কে আদালতে নেওয়া হয়েছে চেয়ারে চেংদোলা করে। গোলাম আজম পেয়েছেন হুইল চেয়ার। অথচ উভয়েরই হুইল চেয়ার পাওয়ার কথা ছিলো। জানি, এসব এখন বলা অর্থহীন। অজয় রায়ের মৃত্যুর কারণেই হয়তো এমন মাতম হচ্ছে। হওয়াটাই স্বাভাবিক। কী করেননি এই ভদ্রলোক, দেশের জন্য, সমাজের জন্য? দেশের সবচেয়ে নামি বিদ্যাপীঠের অধ্যাপক হিসেবেই তিনি নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখেননি? হয়ে উঠেছিলেন প্রকৃত অর্থেই ‘পাবলিক ইন্টেলেকচুয়াল’। কথা বলে গেছেন। তাকে থামানোর চেষ্টা করে গেছে রাষ্ট্রীয় বাহিনী। তিনি সেটাও জানিয়ে বলে গেছেন কথা। বিনিময়ে কী দিলাম আমরা তাকে! পুত্রমৃত্যু-যন্ত্রণা, বিচারহীনতা এতো অনাচার দেখে যেতে হলো তাকে। সম্ভবত, তিনি কী পেয়েছেন এই রাষ্ট্রের কাছে, সেটার খুব বড় প্রতীকী দৃশ্য এই ছবিটি এবং ছবি দু’টির পার্থক্য। এসব ছবি লজ্জিত করেছে আগেও। তার মৃত্যুর পর সেই লজ্জা কমছে না, বরং বাড়ছে বলেই এমন বেদনাদায়ক দৃশ্যগুলো নিয়ে আমরা বৃথা মাতম করে সান্ত¡না ও শান্তি খুঁজছি বারবার। ফেসবুক থেকে