মোহাম্মদ আলী বোখারী, টরন্টো থেকে : বিবিসি বাংলা পরিবেশিত সংবাদ অনুযায়ী, অপরাপর সময়ের তুলনায় চলতি বছরের বিগত ছয় মাসে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সেস বা বিএসএফ-এর গুলিতে হত্যাকান্ড বেড়েই চলেছে। নিঃসন্দেহে সেটি প্রতিবেশী দুটি দেশের বিদ্যমান সম্পর্কের বিবেচনায় অত্যন্ত উদ্বেগপূর্ণ ঘটনা। উইকিপিডিয়ায় ২০২০ সাল বাদে ১৯৭২-২০১৯ সাল নাগাদ এই হত্যাকান্ডের সংখ্যা ১,৫১০ জন। তাতে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের তথ্যানুসারে বাংলাদেশ থেকে ভারতে অবৈধ পন্থায় অনুপ্রবেশ, চোরাচালানিদের সঙ্গে সীমান্ত সংঘর্ষ ও গরু পাচারের বিষয়াবলী সংশ্লিষ্ট। তবু সেটি লন্ডনের গার্ডিয়ান পত্রিকার কলামিস্ট ব্র্যাড অ্যাডামসের অভিমতে ‘বিশ্বের বৃহৎ গণতন্ত্রের দেশ কর্তৃক নির্র্বিচারে নিরিহ গ্রামবাসী মারার সামিল।’তদুপরি সাইদুল ইসলাম ও অমিতাভ ভট্টশালী রচিত বিবিসি বাংলার ওই প্রতিবেদনে ২০২০ সালে গত ছয় মাসে সে হত্যাযজ্ঞ ক্রমবর্ধনশীল। ২৫ জনের মাঝে ২১ জনই ২০১৮ সালে মন্ত্রী পর্যায়ে অনুসৃত ‘হত্যা নয়’ নীতিমালার পরিপন্থী পন্থায় বিএসএফ গুলি করে মেরেছে। তাই আমাদের পারস্পরিক সম্পর্কের ‘অতি স্পর্শকাতর’ দিক বিবেচনায় এই হত্যাযজ্ঞ বন্ধ হওয়া অপরিহার্য।