বাশার নূরু:[২] প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসে আজকের এই দিনটি এক বিশেষ গৌরবময় স্থান দখল করে আছে। সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের মহান আত্মত্যাগ ও বীরত্বগাথা জাতি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে।
[৩] শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭১ সালের এই দিনে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর অকুতোভয় সদস্যরা যৌথভাবে দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে সমন্বিত আক্রমণের সূচনা করেন। সম্মিলিত আক্রমণের মুখে শত্রুবাহিনী আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। [৪] তিনি বলেন, প্রতিবেশী সকল রাষ্ট্রের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে আমরা বিশ্বাসী। তবে যে কোনো আগ্রাসী আক্রমণ থেকে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য আমরা সদাপ্রস্তুত ও দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে বঙ্গবন্ধুর প্রতিরক্ষানীতি ১৯৭৪-এর আলোকে আমরা ফোর্সেস গোল-২০৩০ প্রণয়ন করেছি। তারই ধারাবাহিকতায় সশস্ত্র বাহিনীকে সাংগঠনিকভাবে পুনর্গঠন, উন্নত প্রশিক্ষণ প্রদান এবং বিশেষায়িত সামরিক সজ্জায় সজ্জিত করা হচ্ছে।[৫] প্রধানমন্ত্রী বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর পেশাদারিত্ব এবং কর্মদক্ষতা দেশের গণ্ডি পেরিয়ে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা দেশের যে কোনো ক্রান্তিলগ্নে সর্বোচ্চ নিষ্ঠা ও আত্মত্যাগের মাধ্যমে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। কোভিড-১৯ মহামারী মোকাবেলায় তাদের ভূমিকা প্রশংসনীয়। আমি দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে চাই, আমাদের সরকারের আমলে সশস্ত্র বাহিনীর যে পরিমাণ আধুনিকায়ন হয়েছে অতীতে কোনো সময়েই তা হয়নি। [৬] শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় সশস্ত্র বাহিনী দিবস-২০২০ উপলক্ষে দেয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ সকল বেসরকারি টেলিভিশন এবং রেডিও চ্যানেলে একযোগে প্রচার করা হয়। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব