শরীফ শাওন : [২] গার্মেন্ট শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, করোনার দ্বিতীয় ওয়েভে রপ্তানি পোশাক শিল্পকে রক্ষা করতে আর্থিক সহায়তার পাশাপাশি নীতিগত সহায়তা ও পূর্বের লোন পরিশোধের সময়সীমা ৫ বছর নির্ধারণ করতে হবে।
[৩] রুবানা হক বলেন, করোনার প্রভাবে পোশাক শিল্পে ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১৮.১২ শতাংশ নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে, যার পরিমাণ প্রায় ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। মহামারির দ্বিতীয় ওয়েভে ইতোমধ্যে ইউরোপের কিছু দেশ লকডাউনে চলে যাচ্ছে। ফলে পোশাক খাত এখনও কঠিন সময় পার করছে। [৪] তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী পোশাক রপ্তানি বাজারে আমাদের অংশগ্রহণ ৬. ৮ শতাংশ, যা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। রপ্তানিতে পোশাক ভিয়েতনামের প্রধান পণ্য না, তাদের চেয়ে আমাদের উৎপাদন ক্ষমতাও বেশি। কম্বোডিয়া ইতোমধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের জিএসপি সুবিধা হারিয়েছে। [৫] বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, করোনার দ্বিতীয় ধাপে গার্মেন্ট সেক্টর ক্ষতির মুখে পড়লে পুনরায় সহায়তা করা হবে। কারণ এই সেক্টরের সঙ্গে ছোট বড় আরও অনেক শিল্প জড়িত।
[৬] বিজিএমইএ জানায়, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানির বড় বাজার ইউরোপিও ইউনিয়ন ও ইউএস। করোনার প্রভাবে আগস্টে ইউএসএর পোশাক বিক্রি কমেছে ২১ শতাংশ, সেপ্টেম্বরে ১২ শতাংশ। একই সময়ে ইইউ’র বিক্রি কমেছে যথাক্রমে ২৫ ও ১৩ শতাংশ। বাংলাদেশে পোশাক রপ্তানি কমেছে নভেম্বরের ১৭ দিনে ৭.৩৩ শতাংশ, অক্টোবরে ৭.৭৮ শতাংশ। সম্পাদনা: শাহানুজ্জামান টিটু