আসিফুজ্জামান পৃথিল: [২] ৮ নভেম্বর জাতীয় নির্বাচনে পার্লামেন্ট ও স্থানীয় লেজিসলেটরের ১ হাজার ১১৭ আসনের মধ্যে ৯২০টিতে জয় পেয়ে নির্বাচিত হয় ন্যাশনাল লিগ অব ডেমোক্রেসি। এই ফলাফল ২০১৫ সালের রেকর্ডও ভেঙে দিয়েছে। অং সান সুচির দলটির পক্ষে সবসময়ই বিশ্ববাসীর সমর্থন ছিলো। কিন্তু এবার তারা নির্বাচিত হয়েছে গণহত্যা ও জাতিগত নিধনের অভিযোগ মাথায় নিয়ে। আল জাজিরা
[৩] সেনাসমর্থিত ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেমোক্রেটিক পার্টি নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ করলেও প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেনি। জনগণ তাদের স্পষ্টত প্রত্যাখান করলেও সুচি বা তার দল যে সেনাবাহিনীকে এড়িয়ে যাবার সাহস রাখেন না, রোহিঙ্গা গণহত্যা ও রাখাইনে আরাকানিদের উপর চলমান নির্যাতনেই তা প্রমাণ হয়ে গেছে।
[৪] তবে রাখাইন অঞ্চলে সুবিধা করতে পারেনি লিগ অব ডেমোক্রেসি। সেখানে বরাবরের মতো স্থানীয় দলগুলোই জয় পেয়েছে। নির্বাচিত হয়েছেন বেশ কিছু রোহিঙ্গা এমপি। তারা বলছেন, এমপি হিসেবে তাদের প্রথম কাজ হবে রাখাইনকে আগ্রাসী বাহিনীর হাত থেকে রক্ষা করা।
[৫] রাখাইনসহ বেশ কিছু রাজ্যে বিদ্রোহ নিয়ন্ত্রণ করতে হিমশিম খাচ্ছে বার্মিজ সরকার। অবশ্য বিদ্রোহ দমন নয়, সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে রয়েছে মানবাধিকার লঙ্ঘনের গুরুতর সব অভিযোগ। সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি রাখাইন রাজ্যে। এরপরেই রয়েছে চীন, কারেন ও শান রাজ্য। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব