শিমুল মাহমুদ: [২] ১৩ নভেম্বর বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙ্গার হুমকির পর গণমাধ্যমে আলোচনায় আসে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের নাম। শুক্রবার আবারো ভাস্কর্য-বিরোধী অবস্থান জানালেন হেফাজতে ইসলামের আমীর জুনাইদ বাবুনগরী। [৩] সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু বলেন, যে কোনো মানুষের মূর্তি-ভাস্কর্য করার অধিকার আছে। আমরা যদি বলি ভাস্কর্য জায়েজ, মূর্তি জায়েজ না তাহলে মূর্তি পূজারীদের খাটো করা হয়। সাংবিধানিকভাবে এটা বড় অন্যায়ের দিকে ধাবিত হওয়া। [৪] আওয়ামী লীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. নূহ উল আলম লেলিন বলেন, আওয়ামী লীগ কেনো প্রতিবাদ করেনি। এটা ঠিক নয়। আওয়ামী লীগ যেহেতু ক্ষমতাসীন দল, কেবল প্রতিবাদ করলেই কার্যকর ব্যবস্থা হলো এরকমটাও ঠিক নয়। [৫] ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জিনাত হুদা বলেছেন, বঙ্গবন্ধু প্রবল বিক্ষুব্ধ স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়েই ধর্ম নিরপেক্ষতার বিষয়টি এনেছিলেন। আমরা যারা অগ্রসরমানতার কথা বলি, তারা যদি পিছিয়ে যান, সেটা অনেক প্রশ্নের জন্ম দেবে। [৬] জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুণ অর রশীদ বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধীরা কখনো ক্ষমা চায়নি। এদেরকে রাজনৈতিকভাবে বা অন্যভাবে মোকাবেলা করতে হবে। এদের বিরুদ্ধে এদেশের সাধারণ জনগণ অতীতের মতো প্রতিবাদ করবে। [৭] ভাস্কর রাসা বলেন, নতুন প্রজন্মের কাছে ইতিহাস তুলে ধরতে প্রতিটি জেলায় ম্যুরাল টেরাকোটা করে স্থাপন করার প্রয়োজন রয়েছে। দুঃখজনক হলেও সত্য, মুক্তিযুদ্ধের সময় মা-বোন নির্যাতনের বিষয় নিয়ে তেমন কোনো স্থাপনা এখন পর্যন্ত হয়নি। সম্পাদনা: শাহানুজ্জামান টিটু, রায়হান রাজীব