আমজাদ আকাশ: [৩] ১৯৪৮ সালে যখন এদেশে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের নেতৃত্বে চারুকলা কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয় তখন চিত্রকলা বিষয়ে পড়াশোনা এখনকার মতো সহজ ছিল না। সেই দূরন্ত সময়ে অনিশ্চিত জীবনকে আলিঙ্গন করার সাহস যে ক’জন দেখিয়েছিলেন কাইয়ুম চৌধুরী তাদের অন্যতমদের একজন। [৪] শিল্পকলার প্রতি দুর্নিবার আকর্ষণকে পুঁজি করে ভর্তি হয়েছিলেন চারুকলা কলেজে। গুরু জয়নুল আবেদিনের সঙ্গে পেয়েছিলেন উদ্যোমী একঝাঁক নবীন শিক্ষক। ক্ষয়িষ্ণু জমিদার পরিবারে আর্থিক স্বাচ্ছল্য না থাকলেও ছিলো উদার সাংস্কৃতিক পরিবেশ। যা তাঁকে ছোটবেলা থেকেই শিল্পকলার প্রতি আগ্রহী হতে শেখায়।[৫] শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরীর জন্ম ১৯৩২ সালের ৯ মার্চ ফেনী জেলায়। ময়মনসিংহ সিটি কলিজিয়েট স্কুল থেকে ১৯৪৯ সালে ম্যাট্রিক পাশ করেন। সে বছরই ভর্তি হন আর্ট ইনস্টিটিউটে। সতীর্থ বন্ধুদের নিয়ে অবদান রাখেন ৫২-এর ভাষা আন্দোলনে। [৬] ছাত্রাবস্থাতেই শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরীর শিল্পকলায় স্বকীয় অনুসন্ধান সকলের চোখে পড়ে। ১৯৫৬ সালে বন্ধু শিল্পী মুর্তজা বশীর ও সৈয়দ জাহাঙ্গীরকে নিয়ে গড়ে তোলেন ‘পেইন্টার্স ইউনিট’। [৭] ২০১৪ সালের ৩০ নভেম্বর আর্মি স্টেডিয়ামে বেঙ্গল ক্লাসিক্যাল মিউজিক ফেস্টভালের চতুর্থ দিন বক্তব্য প্রদান করে নিজের চেয়ারে ফিরে আসেন। সঙ্গে সঙ্গেই আবারও ফিরে আসেন মাইক্রোফোনের সামনে। বলেন, ‘আমার একটি কথা আছে…’। বলা শেষ করতে পারেননি আর। সম্পাদনা: রায়হান রাজীব