আসিফুজ্জামান পৃথিল: [৩] ভারতীয় জনতা পার্টি কখনই এই সত্য ও সূত্রগুলো গোপন করেনি। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ইন্দিরা আমলের কংগ্রেস ছাড়া আর কোনও দল কখনোই ভারতীয় রাজনীতিতে এতোটা প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি। বিবিসি
[৪] শুধু কেন্দ্র সরকার নয়, রাজ্যগুলোর নিয়ন্ত্রণও আগুন-গতিতে নিয়ে নিচ্ছে বিজেপি। ভারতের রাজনীতিতে প্রায় স্থায়ী পদচিহ্ন রাখতে শুরু করেছে দলটি। বদলে যাচ্ছে একের পর এক শহরের নাম। প্রাচীন গল্প অবলম্বন করে তৈরি হচ্ছে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, তফসিলি রাজ্যগুলোর বিশেষ মর্যাদার আর কোনও মর্যাদা নেই। কিন্তু বিজেপি যেনো অজর-অজেয়। বস্তুত তাদের ঠেকানোর কেউ নেই।
[৫] রাষ্ট্রবিজ্ঞানী সহিস পালসিকার বিবিসি ইন্ডিয়াকে বলেছেন, বর্তমান বিজেপি ভারতের ইতিহাসের ২য় প্রভাবশালী পার্টি সিস্টেম। ১৯৮৪ সালের পর মোদীই প্রথম নেতা, যার কথা পুরো ভারতে গুঞ্জরিত হয়।
[৬] বিজেপি এ ধরণের প্রভাব সৃষ্টির চেষ্টা আগেও করেছে। আধা সশস্ত্র ধর্মীয় চেতনায় উদ্বুদ্ধ রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ বা আরএসএস হলো বিজেপির বীজগর্ভ প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানের উপর ভর করে বিজেপি এগিয়ে যাবার চেষ্টা করেও পারেনি, কারণ অটল বিহারী বাজপেয়ী আর এলকে আদভানির সম্পর্ক ভালো ছিলো না।
[৭] সেই ভুল করেননি মোদী আর অমিত শাহ। মোদী যদি চেহারা হন, তবে অমিত শাহ মস্তিস্ক। একযোগে তারা ঘৃণার রাজনীতিকে এমন এক স্থানে নিয়ে গেছেন, যা ইতিহাসে খুব কম দলই পেরেছে। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব