আসিফুজ্জামান পৃথিল: [৩] ২০১০ সালের ১৭ ডিসেম্বর তিউনিশিয়ার তরুণ ফল ব্যবসায়ী মুহাম্মদ বুয়াজিজি একটি প্রাদেশিক সদর দপ্তরের সামনে নিজ শরীরে আগুন দেন। পুলিশ তার ফলের গাড়ি কেড়ে নেয়ার প্রতিবাদে এই আত্মঘাতী প্রতিবাদ। বুয়াজিজির শরীরের আগুন ছড়িয়ে পড়ে আরব দেশটির আনাচে কানাচে। ৪ জানুয়ারি মারা যান বুয়াজিজি, এরই মধ্যে পাল্টে যায় পুরো তিউনিশিয়া। উৎখাত হন দশকের পর দশক ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখা জেইন আল-আবিদিন বেন আলি। দ্য গার্ডিয়ান
[৪] এই আগুন শুধু উত্তর আফ্রিকার দেশগুলোতেই আটকে থাকেনি। ছড়িয়ে পড়ে মিসর, বাহরাইন, ইয়েমেন, লিবিয়া এবং সিরিয়ায়। আরব পেনিনসুলায় বুয়াজিজির মতো দিনে ২ পাউন্ড আয় করা পরিবার অসংখ্য। এই আরবরা আর বঞ্চনার শেকলে বাঁধা থাকতে চায়নি। বিক্ষোভ থেকে বিপ্লবের প্রচেষ্টা, তবে আকাক্সক্ষা পূরণ হয়নি। [৫] তিউনিশিয়া ছাড়া আর কোনও দেশ সফল হয়নি। সরকারের পতন হলেও লিবিয়া যুদ্ধবিধ্বস্ত। ইয়েমেনের বাতাসে ক্ষুধার্ত শিশুদের কান্না। রূপকথার সিরিয়া পরিণত হয়েছে জীবন্ত নরকে। মিসরে কিছুদিনের জন্য বিপ্লবী সরকার ক্ষমতায় এলেও আবারও ক্ষমতা আঁকড়ে ধরেছে সামরিক বাহিনী। [৬] মনে করা হয়, পশ্চিমা দেশগুলো আরব বসন্তের আড়ালে মধ্যপ্রাচ্যকে নিত্য নতুন অস্ত্র পরীক্ষার ক্ষেত্র বানিয়েছে। আরবের মানুষ যে বসন্তের স্বপ্ন দেখেছিলো, সে বসন্ত আসেনি। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব