তপন মাহমুদ লিমন : কোন কিছুর বিরোধিতা করা মানেই কাউকে অভিযুক্ত করা না। কোনো কিছুর প্রতিবাদ করতে হবে তাই, একজনকে আসামীর কাঠগোঁড়ায় দাড় করাতেই হবে, তাও খুব জরুরি নয়। হ্যাঁ, সব অপরাধেই এক বা একাধিক বা সংঘবদ্ধ অপরাধী থাকেন। কিন্তু কখনও অপরাধ সনাক্তে তাড়াহুড়া করলে ভুল হতে পারে। একজন মানুষকে ভুলভাবে অভিযুক্ত করাও মারাত্মক অপরাধ। শুধু অপরাধ নয় অভিযুক্তের জন্য খুব ভয়ংকর ব্যপার। এটা তার জন্য মৃত্যুসংহারী। একই সাথে তাকে করে তুলতে পারে ভয়ানক প্রতিশোপরায়ন। তাই যখন কোন অপরাধে একটা ধুসর এলাকা থাকে, তখন কে অপরাধী বা কি অপরাধ ছিল সেটা ঠিক করতে অপেক্ষা করা দরকার। প্রতিবাদ জারি রাখা দরকার। কিন্তু তাতে যদি প্রকৃত অপরাধটো বের না হয়ে আসে বা প্রকৃত অপরাধী বের না হয়ে আসে তাহলে আদতে আমরাই অপরাধী হয়ে থাকবো, যারা পরিস্কার না হয়ে একটা উপসংহার টেনেছিলাম। আমি শুধু হালের স্কুল ছাত্রী নিহতের ঘটনা বলছি না। আমাদের সমাজে এরকম অনেক উদাহরণ পাবেন। তবে, সা¤প্রতিক ঘটনাকে আপনি ধর্ষণ বলবেন নাকি দুর্ঘটনা বলবেন? নাকি বলবেন বিকৃত যৌনাচার এর ফল? ধর্ষণ হলে ছেলটা অপরাধী। দুর্ঘটনা হলে, তো কাউকে দায়ী করা যায় না। আর বিকৃত যৈানাচার হলে দুজনকে নয়, সমাজ ব্যবস্থাকে দায়ী করা যায়। কিন্তু আমি এখন কোনটিই বলতে চাই না। কারণ জানি না, ঠিক কি হয়েছে। তবে একটা মানুষ মারা গেছে। তার তদন্ত হোক সঠিকভাবে, সেটা চাই। তারপর যে দোষ বা দোষী সনাক্ত হবে, তার শাস্তি হোক, সংশোধন হোক সেটা চাই। ফেসবুক থেকে