আলতাফ শাহনেওয়াজ : প্রথম আলোতে সম্পাদকীয় বিভাগের খানিক পরেই আমার বসার টেবিল মানে সাহিত্যপাতার দপ্তর। তো, সম্পাদকীয় বিভাগে আত্মভোলা মিজান ভাই প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান খানকে দেখতাম একাগ্র চিত্তে ডুবে আছেন নিজের কাজে। এমন অনেকবারই হয়েছে, রাতের বেলায় আমাদের অফিসের সাত তলায় আমি আর মিজান ভাই সম্পাদকীয় বিভাগে এবং আমি সাহিত্যের দপ্তরে কাজ করছি। গোটা ফ্লোরে তখন আর কেউ নেই। সে সময় কখনো কখনো মিজান ভাই উচ্চস্বরে কথা বলতেন। হা হা হা করে হাসতেন। আর এতে মনোসংযোগ বিঘিœত হওয়ায় বিরক্ত হতাম আমি। এটি মিজান ভাইকে বললে এমন শিশুর মতো সরল একটি হাসি দিতেন তিনি। হ্যাঁ, নিজের কাজের বাইরে জগতের আর কিছুই বুঝতেন না মিজান ভাই, আদতেই শিশুর সারল্য ছিল তার মধ্যে। তিনি চলে গেলেন। এটাই মানতে পারছি না। এখনো হয়তো রাতে কাজ করবো। তখন কি পাশের ঘর থেকে ভেসে আসবে মিজান ভাইয়ের ঘর কাঁপানো হা হা হা হা হাসি? অনেক স্মৃতি। কোনোটাই এখন গুছিয়ে লিখতে পারব না। সেই অবস্থায় আমরা কেউই নেই। শুধু মনে হচ্ছে, শিশুর মতো সরল, আপাদমস্তক সাংবাদিক এবং একজন সৎ মানুষ এভাবে চলে গেলেন। কী বলি! তার ওই সরল হাসি আর সরল মুখটি ভাসছে। ফেসবুক থেকে