আমিরুল ইসলাম : [৩] কবি ফরিদ কবির বলেন, করোনার জন্য দেশের সবকিছু চলছে, কোনোকিছু থেমে নেই। করোনার জন্য যতোটুকু সচেতন হওয়া দরকার সেই সচেতনতা মানুষের আছে। কেউ যদি সচেতন না হয় তাহলে সেটার দায়-দায়িত্ব তার নিজের। বইমেলা কেন হবে না? বইমেলা না হওয়ার কোনো কারণ আমি দেখি না।
[৪] বইমেলা হওয়া উচিত। সরকার যদি মনে করে দেশে করোনার ভাইরাসের প্রকোপ বাড়ছে তাহলে অফিস আদালতসহ সবকিছু পুনরায় লকডাউন করা হোক। সব কিছু খোলা রেখে বইমেলা বন্ধ রাখলে লেখক প্রকাশকরা বই বের করবে কি করে? এই শিল্পের সঙ্গে যারা জড়িত সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। [৫] কথা সাহিত্যিক ডা. জাকির তালুকদার বলেন, বইমেলা আমাদের সংস্কৃতিতে খুব প্রয়োজনীয়। করোনা ভয় দূরে রেখে মানুষ এখন যেভাবে স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করছে সেটাকে আমরা সমর্থন ও গ্রহণযোগ্য মনে করি না। করোনাকালে আমাদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ লেখক ও কবি মারা গেছেন।
[৬] ডিজিটাল বই মেলা খুব সফলভাবে করা সম্ভব হবে বলে মনে হয় না। বেশিরভাগ প্রকাশক এর সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারবে না বা ডিজিটাল বইমেলা করার জন্য প্রস্তুত নয়। বইমেলার জন্য আমাদের অপেক্ষা করা প্রয়োজন। ঢাকাতে যেমন বইমেলা হওয়া দরকার তেমনি প্রতিটি জেলায়ও ৭ দিনের জন্য বইমেলার আয়োজন করা উচিত। সম্পাদনা: রায়হান রাজীব