শিমুল মাহমুদ: [৩] বাংলাদেশ রেফারেন্স ইনস্টিটিউট ফর কেমিকেল মেজারমেন্টস-বিআরআইসিএম এবং ঢাকা মেডিকেল যৌথভাবে এর উদ্ভাবন করেছে। নামকরণ করা হয়েছে ‘বঙ্গোসেইফ ওরো নেজল স্প্রে’। বিআরআইসিএম-এর গবেষকদের ভাষ্য, ভাইরাস আক্রমণের প্রবেশ পথ মুখ, চোখ ও নাকে স্প্রে করলে ভাইরাল লোড কমিয়ে মৃত্যু ঝুঁকি হ্রাস করার পাশাপাশি ‘কমিউনিটি ট্রান্সমিশন নিয়ন্ত্রণে’ ভূমিকা রাখবে। কিভাবে কাজ করবে? [৪] বিআরআইসিএম মহাপরিচালক ড. মালা খান বলেন, এটা মূলত প্রতিরোধকারী। এতে দুটো সুবিধা হবে। নন কোভিড কেউ যদি সংক্রমিত ব্যক্তির কাছাকাছি যান এবং সংক্রমণ ঘটেও, তাহলে এই স্প্রে ভাইরাস ধ্বংস করবে। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে কিনা? [৫] ড. মালা বলেন, আমরা যে মলিকুলটি নিয়ে কাজ করছি এটি গত ৫০ বছরে বিভিন্নভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে এন্টিসেপটিক হিসেবে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশে এ প্যাটেন্ট-এর কাছাকাছি নয়টি কাজ আমরা পেয়েছি। সেখানে কেউ চোখের ইনফেকশনের জন্য করেছে, কেউ কানের জন্য এ প্যাটেন্ট ব্যবহার করেছে। এটা নিরাপদ ও নিশ্চিত সেটা সাইন্টিফিকভাবে বলা যায়। [৬] তিনি বলেন, আমরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২০০ জন কোভিড-১৯ রোগীর ওপর এই স্প্রের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করে ‘নিরাপদ ও কার্যকর’ হিসেবে প্রমাণ পেয়েছি। ট্রায়ালে দেখেছি কি পরিমাণ ডোজে এটা সঠিকভাবে কাজ করে, কত সময় কাজ করে। ট্রায়ালে অংশ নেওয়া রোগীদের সাক্ষাৎকার নিয়েছি এবং তা ডাটা হিসেবে রেকর্ড করেছি। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা বা বৈশ্যিকভাবে ব্যবহারের জন্য কোনও বিশেষ ছাড়পত্র’র দরকার আছে কিনা? [৭] বিআরআইসিএম মহাপরিচালক বলেন, স্প্রের প্রচার বাড়ানো এবং ব্যবহারের ক্ষেত্রে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিএমআরসিতে আবেদন করবো অনুমোদনের জন্য। তারপর বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা বা অন্যান্য জায়গার আবেদন করবো। তিনি জানান, ইতোমধ্যে ‘বঙ্গোসেইফ ওরো নেইজল স্প্রে’র পেটেন্টের জন্য আবেদন করেছেন তারা। তবে এখনও কোনো ধরণের রেজাল্ট পাবলিস্ট করা হয়নি। সাইন্টিফিক আর্টিকেলও প্রকাশ করেছে তারা। বাণিজ্যিকভাবে আসবে কিনা, মূল্য কত হবে? [৮] ড. মালা খান জানান, বিএমআরসির অনুমোদন ও ডিজি ডিএ-এর লাইসেন্স পেলে বাণিজ্যিক প্রস্তুতিটা নিতে পারবো। প্রতি ২৫ এমএল স্প্রের উৎপাদন খরচ হবে ১০০ টাকা, যা একজন ব্যক্তি এক মাস পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারবে। সম্পাদনা:সমর চক্রবর্তী