বিশ^জিৎ দত্ত: [৩] অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, কোভিডের কারণে আমাদের অর্থনীতির গতি কমেছে কিন্তু এলডিসি থেকে উত্তোরনের শর্তের কোনও ব্যাঘাত হয়নি। সরকার চায়নি এখনি এলডিসি থেকে বের হয়ে যাই। আমি দু:খ পেয়েছি। বাংলাদেশের মতো এমন অর্থনীতির কোনও দেশ আর গরিবের তালিকায় নেই। আমরা গরিব না হয়েও আরও ২ বছর গরিব থেকে যাবো। এটা সত্যিই মানহানিকর। [৪] ড.আবুল বারকাত পুরো বিষয়টিকেই একটি ধাপ্পাবাজি বলেছেন। তিনি মনে করেন, বাংলাদেশের মানুষের প্রকৃত মাথাপিছু আয় বাড়েনি। তার মতে যেখানে আয় বৈষম্য পালমা রেটিং ৩এর চেয়ে বেশি সেখানে কিছু লোকের আয় বেড়েছে। তা দিয়ে প্রকৃত আয় নিরুপণ হয়না। মানুষের প্রকৃত সমস্যাকে আড়াল করতে এসব স্বল্পোন্নত, উন্নত তত্ত্ব হাজির করেছে রাজনীতিবিদ ও আমলারা। [৫] সিপিডির সম্মানিত ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ সিডিপিকে অনুরোধ করেছে ২ বছর সময় বৃদ্ধির জন্য। যেমন নেপাল ২০১৫ সালে সিডিপিেিক অনুরোধ করেছিল তাদের উত্তোরণের সময় ২০১৮ সাল পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়ার। সিডিপি হয়তো বাংলাদেশের সঙ্গে আরও যেসব ১১টি দেশ রয়েছে সবার সময়ই হয়তো বাড়িয়ে দেবে। বাংলাদেশের রিভিউ হয়েছে ২০১৬ থেকে ২০১৮ সালের অর্থনীতির। তখন কোভিড ছিল না।
[৬]স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় ২০২৪ সালে প্রবেশ করবে এটি ১ বছর আগেও নির্ধারিত ছিল। কারণ উন্নয়নশীল দেশে উত্তোরনের ৩টি শর্তই বাংলাদেশ পূরণ করেছিল। আয় বৃদ্ধি, মানব সম্পদের উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক অভঙ্গুরতা। সম্পাদনা:সমর চক্রবর্তী