রায়হান রাজীব: [৪] ‘নব দিগন্তে প্রত্যাবর্তন’ এই স্লোগানের মধ্যে দিয়ে র্যাব সদর দপ্তরের আজাদ মেমোরিয়াল হলে আত্মসমর্পণ করা জঙ্গিদের মধ্যে ৬ জন জেএমবির এবং ৩ জন আনসার আল ইসলামের সদস্য ছিলেন। [৫] স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, আমরা শুধু জঙ্গিবাদ কঠোর হস্তে দমন করছি তাই নয়, পাশাপাশি ডির্যাডিকালাইজশনের মাধ্যমে তাদের ভুল পথ ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি। যারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরছেন তাদের ট্রাক্টর, কৃষিজ উপকরণ, নগদ টাকা সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
[৬] বাংলাদেশ কখনো জঙ্গিবাদকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয় না উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন জিরো টলারেন্সের কথা। এটা আমরা কখনো বলি না জঙ্গিবাদকে মূলোৎপাটন করেছি। বলেছি জঙ্গিবাদকে আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি। [৭] পুলিশের মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ বলেন, ওই ককটেল, জর্দার কৌটা বা এ জাতীয় জিনিসপত্র দিয়ে তোমরা কারো বিরুদ্ধেই বিজয়ী হতে পারবে না। বরং ওই পথে গিয়ে তোমরা পরিবার-সমাজ বিচ্ছিন্ন হয়ে আছো। এ অন্ধকার জগত তোমার নিজেকে, পরিবারকে ও রাষ্ট্রকে বিপদে ফেলতে পারো। [৮] এখনো যারা এ ধরনের কাজে জড়িত আছেন তাদের প্রতি আমাদের নজরদারি অব্যাহত আছে। ১০০ শতাংশ না হলেও অন্তত ৯০ শতাংশেরও বেশি ঘটনা শুরুতেই বিনষ্ট করতে সক্ষম হয়েছি। [৯] যারা সমাজের মূলধারায় ফিরে এসেছে তাদের অভিনন্দন জানিয়ে পুলিশ প্রধান বলেন, জঙ্গিদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার এ ধারা বাংলাদেশই প্রথম চালু করেছে। সম্পাদনা: শাহানুজ্জামান টিটু