দেবদুলাল মুন্না: [২] গতকাল সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ ও বাংলা একাডেমির উপ পরিচালক তপন বাগচী করোনা পরিস্থিতির কারণে আগামী মার্চ মাসে ও ঝড়-বৃষ্টি নিয়ে শঙ্কার কারণে বইমেলা না হতে পারে বলে জানিয়েছেন। প্রকাশক ফরিদ আহমেদ, পাপিয়া জেরীন, রাজীব চৌধুরী ও লেখক মামুন হুসাইন, শাহাদুজ্জামান ও জাকির তালুকদার প্রমুখ অনেক লেখকই মনে করছেন এ বছর বইমেলা হবে না বলেই তারা মনে করেন। বাংলা একাডেমি বইমেলা পিছিয়ে সময় নিচ্ছে মাত্র।
[৩] বাংলা একাডেমির তপন বাগচী বলেন,ভার্চুয়াল বইমেলার প্রস্তাব এসেছে। তবে প্রকাশকরা ভার্চুয়াল বইমেলার বিষয়ে আগ্রহী নন। আর আমরাও মনে করছি ভার্চুয়াল বইমেলা হলে সেটা মেলার আমেজ থাকে না। করোনা পরিস্থিতির কারণে ফেব্রুয়ারিতে এবার বইমেলা হচ্ছে না। মার্চ মাসেও বইমেলা হওয়ার সম্ভাবনা নেই। এপ্রিলে বইমেলা আয়োজনের ব্যাপারে আমরা আশাবাদী।
[৪] জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির নির্বাহী পরিচালক মনিরুল হক বলেন, এপ্রিলে বইমেলা হলে ঝড়-বৃষ্টিতে বই নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি থাকে। সরকার যদি বিষয়গুলো মাথায় রেখে পরিকল্পনা করে তবে বইমেলা হতে পারে। আমরা মেলা আয়োজনের জন্য অপেক্ষায় রয়েছি।
[৫] সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, ফেব্রুয়ারি মাসে শারীরিক উপস্থিতিতে বইমেলা অনুষ্ঠিত না হলেও একুশের বইমেলার ধারাবাহিকতা ঠিক রাখতে ফেব্রুয়ারিতে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে বইমেলার শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে। সম্পাদনা: আসিফুজ্জামান পৃথিল