ফজলুল বারী : আওয়ামী লীগ যখন বিরোধীদলে ছিল স্থানীয় সংস্থার নির্বাচনেও বিএনপির বিপুল আক্রমণের সম্মুখীন হয়েছে। এসব মোকাবেলা করে মার দিতে এলে পাল্টা মার দিয়ে মাঠে থেকেছে আওয়ামী লীগের প্রার্থী-সহ নেতাকর্মীরা। কিন্তু বিএনপি মুখে এই করবো সেই করবো বললেও পৌর নির্বাচনের দ্বিতীয় দফাতেও বিভিন্ন এলাকায় ‘আমাদের মেরেছে ব্যথা দিয়েছে’ বলে ‘আমরা আর খেলবো না’ বলে মাঠ ছেড়ে গেছে। এতে করে দলের ভোটাররাও পড়েছে বিপাকে। আসলে ক্ষমতায় থেকে সামরিক উর্দি পরে সৃষ্ট দলটি ক্ষমতার বাইরে গিয়ে নির্বাচন করার ব্যাপারে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রথামাফিক লড়াকু বিরোধীদল হয়ে উঠতে পারেনি। লড়াকু বিরোধীদল হতে তাদের আওয়ামী লীগকে রাজি করিয়ে কোচিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। মির্জা ফখরুল আর রিজভী আহমদের ব্রিফিংনির্ভর এভাবে চলতে চাইলে এই দলের কোনো ভবিষ্যত নেই।
নির্বাচিত মন্তব্য : জামিল হোসেন-১৯৭৯ সালের সংসদ নির্বাচন। স্কুলে পড়ি। চট্টগ্রাম শহরের কেন্দ্রস্থলে আমাদের স্কুল আন্দরকিল্লার এমইএস স্কুল ভোটকেন্দ্র। আওয়ামী লীগের নৌকার এলাকা। সকাল হতে বিএনপির হোন্ডা গুন্ডা বাহিনী কেন্দ্র দখল করতে অনেকবার চেষ্টা করে, নৌকার কর্মীদের বাঁধার মুখে বার বার ফিরে যেতে হয়। তারপর বিকালে ভোট গণনার সময় নিজেদের বলে না পেরে বিপুল সংখ্যক পুলিশসহ এসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে নৌকার কর্মীদের বের করে দিয়ে ব্যালট বক্স ছিনতাই করে নিতে সক্ষম হয় অনেকক্ষণ যুদ্ধের পর। বিএনপির অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে নৌকার কর্মী ও ভোটার লড়ে গেলো স্রেফ ইট পাটকেল সম্বল করে। ফেসবুক থেকে