বিশ্বজিৎ দত্ত: [৩] ২০১৮ সাল থেকে বাংলাদেশ ত্রিপুরা দিয়ে ভারতের রাষ্ট্রীয় টেলিফোন কোম্পানিকে ১০ গিগাবাইট ব্যান্ডউইথ রপ্তানি করে আসছিলো। এরমধ্যে করোনার কারণে ভারতীয় কোম্পানিটি বাংলাদেশের বকেয়া পরিশোধে ব্যর্থ হয়।
[৪] বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানির জেনারেল ম্যানেজার কামাল আহমেদ জানান, বিএসএলকে আমরা বকেয়া পরিশোধের জন্য বারবার তাগদা দিয়েছি। কিন্তু কোম্পানিটি ইতোমধ্যেই লোকসানের মুখে পড়েছে। তারা তাদের কর্মচারীদেরই বেতন দিতে পারছে না। তবে আমাদের আশার কথা হলো, আগামী মাসেই তারা আমাদের বকেয়া পরিশোধ করবে। তিনি জানান, ভারতের সংবাদ মাধ্যমের খবরে পড়েছি, কোম্পানিটি এই সংকট উত্তরণে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে অর্থের জন্য আবেদন করেছে।
[৫] তিনি বলেন, কোম্পাটিকে ব্যান্ডউইথ রপ্তানি স্থগিত করা হলেও আলোচনা চলছে আবার নতুন করে রপ্তানি করা যায় কিনা। তবে এটি নির্ভর করবে বকেয়া পাওনা পাওয়ার পর।
[৬] ২০১৭ সালে ত্রিপুরার পালটানা বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বাংলাদেশ ১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির চুক্তি করে। প্রায় একই সময়ে ভারতের রাষ্ট্রীয় মোবাইল টেলিফোন কোম্পানি বিএসএলের সঙ্গেও বাংলাদেশ থেকে ব্যান্ডউইথ রপ্তানির একটি চুক্তি করে। আগামী মার্চে ত্রিপুরা থেকে বিদ্যুৎ ক্রয়ের চুক্তি শেষ হয়ে যাবে বাংলাদেশের।
[৭] ত্রিপুরা এই চুক্তি নাবয়নের জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে দর কষাকষি করছে। বাংলাদেশে বিদ্যুৎ বিক্রি করে ত্রিপুরার রাজ্য সরকার প্রতি বছর ৫০ কোটি রূপি মুনাফা করে বলে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব এক টুইটার বার্তায় জানিয়েছেন। সম্পাদনা: রায়হান রাজীব