আসিফুজ্জামান পৃথিল: [৩]বিগত ১৫ বছর ধরে রাজনীতিবিদ, বিশেষত পুরুষ রাজনীতিবিদদের মধ্যে একটি প্রবাদ বহুল প্রচলিত ছিলো, কখনও মেরকেলকে খাটো করে দেখো না। বিগত ১৫ বছর জার্মান চ্যান্সেলরকে খাটো করে দেখার সুযোগ আদতে ছিলোও না। এ বছরের শেষ নাগাদ তিনি রাজনীতি ছাড়বেন, সেজন্য প্রস্তুতিও নিচ্ছেন। বর্তমান শতক সম্ভবত সবচেয়ে সফল খেলোয়াড়টির অবসর প্রত্যক্ষ করতে চলেছে। সিএনএন। [৪] নিজের দায়িত্ব পালনকালে মেরকেল ৫ জন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে দেখেছেন। দেখেছেন ৪ ফরাসি প্রেসিডেন্ট, ৭ ইতালিয়ান প্রধানমন্ত্রীকে। বাইডেন ২০ জানুয়ারি দায়িত্ব গ্রহণ করার পর হবেন ৪র্থ মার্কিন প্রেসিডেন্ট যার মেরকেলের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা হবে। এসময় জাপানে এসেছেন ৮জন প্রধানমন্ত্রী। চলতি শতকে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকার প্রধানদের মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারই মেরকেলের মতো এমন অভিজ্ঞতা রয়েছে। ডয়েচে ভেলে। [৫] এই অনন্য অভিজ্ঞতার পরেও মেরকেলকে তার দায়িত্ব পালনের অধিকাংশ সময় নিজেকে প্রমাণ করতেই লেগে গেছে। তার কাউন্টারপার্টরা প্রায়শই তাকে অপমানের চেষ্টা করেছেন। মেরকেল কুকুর ভয় পান তা সকলেই জানেন। ভøাদিমির পুতিন একবার তার সঙ্গে বৈঠকের সময় একটি ল্যাব্রাডর কুকুর নিয়ে এসেছিলেন। ট্রাম্প তাকে সরাসরি গর্দভ বলেছিলেন। সিলভিও বার্লুসকোনি তাকে ১৫ মিনিট বসিয়ে রেখে ফোনে কথা বলছিলেন। সব কিছুর পেছনে কারণ একটাই ছিলো, তিনি নারী। [৬] ২০০৫ সালে তিনি যখন প্রথম নারী হিসেবে জার্মান চ্যান্সেলরের দায়িত্ব নেন, অনেকেই ভেবেছিলো তিনি বেশিদিন টিকবেন না। জার্মানির প্রভাবশালী দৈনিক বিল্ড সেদিন বড় করে তার ছবি ছাপিয়ে শিরোনাম দেয়, মিস জার্মানি। এই সময় সারা বিশ্বের নেতারা এসেছেন এবং চলে গেছেন। কিন্তু মেরকেল ছিলেন। তিনি তখনই যাচ্ছেন, যখন তিনি যেতে চেয়েছেন। সম্পাদনা : মোহাম্মদ রকিব