আসিফুজ্জামান পৃথিল : [৩]আরব সাগরের দুই গভীর সুমদ্রবন্দর চবাহার আর গোয়াদর বিশ্ব অর্র্থনীতির চালচিত্র বদলে দেবে, তা ভেবেছিলেন অনেকেই। কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতা, ভারতের ধীরগতি, চীন যুক্ত হওয়ায় গোয়াদরে পশ্চিমা দেশগুলোর অনীহাসহ নানান কারণে তা বাস্তবে পরিণত হয়নি।
[৪]১৯৮৩ সালে চালু হওয়া চবাহার বন্দরের দায়িত্ব নিতে ২০১৬ সালে চুক্তি করে ভারত। শুধু ক্রেন অপারেশনের দায়িত্ব বুঝে নিতেই লেগে গেছে ৫ বছর। গত রোববার রাত থেকে ক্রেন হ্যান্ডেলিং শুরু করেছেন ভারতের অপারেটররা। কোনও প্রকল্পই বাস্তবায়ন না হওয়ায় ইরান ভারত থেকে রীতিমতো মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। [৫]বাংলাদেশের এই ঘাটতি পূরণের কতোটা সক্ষমতা রয়েছে? এই প্রশ্নের জবাবে নাজিম হিকমতের মধু ও মৌমাছি সংক্রান্ত বিখ্যাত উদ্ধৃতির কথা বলেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক ইমতিয়াজ আহমেদ। বাংলাদেশ যদি এই বন্দরগুলো নিয়ে ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখতে চায়, অন্যের উপর ভরসা করা যাবে না, বরং বাড়াতে হবে নিজেদের উৎপাদন সক্ষমতা।
[৬] জাপানের বিশাল বিনিয়োগের উদাহরণ টেনে অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, অন্য দেশের বিনিয়োগ আসাটা ভালো। কিন্তু বাংলাদেশকেও উৎপাদনে সক্ষম হতে হবে। সেটা সম্ভব হলে এমনিতেই দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে তৈরি হবে যোগাযোগ ব্যবস্থা।
[৭] চবাহারকে ভাবা হয়েছিলো মধ্য এশিয়ায় সংযোগ স্থাপনের দুয়ার। অনেকাংশেই তা সম্ভব হয়নি। তবে মলাক্কা আর পক প্রণালীর ঠিক মাঝে অবস্থিত মাতারবাড়ি বন্দর পূর্ব এশিয়ার ক্ষেত্রে এই সম্ভাবনাকে বাস্তবে পরিণত করতে পারবে। সিঙ্গাপুরের বিকল্প খুঁজতে থাকা বৈশ্বিক পুঁজিপতিদের জন্য সহজ সমাধান হয়ে উঠতে পারে এই বন্দর। সম্পাদনা: মোহাম্মদ রকিব