আব্দুল্লাহ মামুন : [২] মনোবিদ ড. তাজুল ইসলাম বলেন, আগে কিশোররা কচিকাঁচার মেলা, খেলাঘর, সংঘ, লাইব্রেরী, ক্লাব বা সংগঠন করতো, তাদের উদ্দেশ্য ছিলো ক্রিকেট, ফুটবলসহ সব ধরনের খেলার টুর্নামেন্ট আয়োজন করা এবং বিভিন্ন দিবসে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা।
[৩] বর্তমানে কিশোররা গ্যাং করে এলাকার মেয়েদের ইভটিজিং করার জন্য, নিজেদের আধিপত্য বিস্তারসহ কখনো চাঁদাবাজি এবং শেষ পর্যন্ত মাদক সরবরাহ করার জন্য। যারা মাদক গ্রহণ করে তারাই আস্তে আস্তে অপরাধী হয়। পরিবার বা সমাজ এই ছেলে-মেয়েগুলোকে সুস্থ বিনোদনে ও সৃজনশীল কাজে নিয়োগ করতে ব্যর্থ।
[৪] ঢাবির অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারপারসন খন্দকার ফারজানা রহমান বলেন, করোনাকালে কিশোর গ্যাং বা অপরাধ বৃদ্ধি পাচ্ছে। কারণ এসময় তারা ঘরে বসে সময় কাটাচ্ছে। পড়াশুনার জন্য হলেও পরিবার থেকে স্মার্ট ফোন বা আধুনিক যন্ত্রপাতি তুলে দিচ্ছে। যার ফলে তারা ইউটিউব, টিকটক, হিংস্র গেম বা পর্ণগ্রাফিতে আসক্ত হচ্ছে। এই আসক্তি তাদের মধ্যে বিকৃত, সমাজবিচ্যূতি আচরণগুলোকে পৃষ্ঠপোষকতা দেয়।
[৫] পরিবার বা সমাজ থেকে কিশোরদের সৃজনশীল কাজ, খেলাধুলার মাঠ বা সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত করতে পারছি না সেক্ষেত্রে তারা বিভিন্ন সময় খারাপ, বিকৃত আচরণে জড়িয়ে পড়ে। সম্পাদনা: রায়হান রাজীব