শরীফ শাওন: [৩] বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৫ সালের স্নাতক (পাস, সম্মান) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রিপ্রাপ্তের হার ৭৬.৪২ শতাংশ হলেও ২০১৯ সালে কমে হয় ৬১.৭১ শতাংশ। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সর্বশেষ প্রতিবেদন মতে এ হার কমেছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রেও।[৪] ইউজিসি’র প্রতিবেদন মতে, ২০১৫ সালে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি প্রাপ্তদের মধ্যে স্নাতক (পাস) ৭৪, স্নাতক (সম্মান) ৯৪ এবং স্নাতকোত্তর ৯৩ শতাংশ হলেও ২০১৯ সালে এ হার কমে যথাক্রমে ৫৯, ৭৫ ও ৮০ শতাংশে দাঁড়ায়।[৫] শিক্ষাবিদ এ কে আজাদ চৌধুরী বলেন, উচ্চশিক্ষার হার সামগ্রিক বিবেচনায় অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড এবং চাকরির বাজারের ওপর নির্ভরশীল। বিগত চার-পাঁচ বছর থেকেই উচ্চশিক্ষিত বেকারের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে যে হারে উচ্চশিক্ষিত হচ্ছে সে পরিমান কর্মসংস্থান হয়নি। [৬] তিনি বলেন, সাধারণ বিভাগে প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ লাখ শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষায় পড়াশোনা করছে। অধিভুক্ত কলেজগুলোর শিক্ষার্থীরা আর্থিক টানাপোড়নে থাকে। অধিভূক্ত কলেজের সার্টিফিকেটও সেভাবে মূল্যায়ন হয় না।[৭] কারিগরি এবং প্রযুক্তিতে চাকরির নিশ্চয়তা ও অধিক বেতনের সুবিধা থাকায় এতে মনোনিবেশ করছে শিক্ষার্থীরা।সম্পাদনা: রায়হান রাজীব