তাপসী রাবেয়া: [৪] রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে মিয়ানমারকে কঠোর চাপ দিয়েছে বাংলাদেশ, জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। মঙ্গলবার বিকেলে ভার্চুয়াল বৈঠকের পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তিনি সাংবাদিকদের জানান, বৈঠকে আশাবাদী হওয়ার মত বেশ কিছু সিদ্ধান্ত হয়েছে।
[৫] মার্চে তিন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের পর মিয়ানমার প্রতিনিধিদল আসবে বাংলাদেশে, তাদের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হবে।
[৬] এরপর বাংলাদেশের প্রস্তাব অনুযায়ী, গ্রাম বা অঞ্চলভিত্তিক ভাগ করে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর কথা রয়েছে। তবে মিয়ানমার বলছে, যে ৪২ হাজার রোহিঙ্গা তারা চিহ্নিত করেছে, তাদের দিয়েই প্রত্যাবসান কার্যক্রম শুরু করা হবে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে প্রতিবেশী দেশগুলোকে প্রত্যাবাসন কার্যক্রমে জোরালোভাবে সম্পৃক্ত করা হবে।
[৭] মোমেন বলেন, দুটি ব্যর্থ প্রচেষ্টা থেকে পাঠ নিয়ে এবার এগিয়ে যেতে চাই, যাতে এবার সফলভাবে প্রত্যাবাসন শুরু করা যায়। [৭] কয়েকজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক সময়ে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিয়ানমার সফরকালে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে বেইজিংয়ের মনোভাবের বড় পরিবর্তনের কথা জানিয়ে দিয়েছেন। জবাবে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারাও প্রত্যাবাসন দ্রুত শুরু করতে আগ্রহী। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব