মোহাম্মদ রকিব : [২]ডাইনোসরের আকার-আকৃতি, খাদ্যগ্রহণ ও তাদের বিলুপ্তি নিয়ে অনেক কিছু আমরা ইতোমধ্যে জেনেছি, হয়েছে অনেক গবেষণাও। কিন্তু এবার জার্মানির ফ্রাঙ্কফুটের ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামের সংগ্রহে থাকা সাইটোকোসরাস ডায়নোসরের ফসিলটি নিয়ে গবেষণায় গবেষকরা প্রানী প্রজাতিটির মল-মূত্র ত্যাগ ও যৌনমিলন সম্পর্কে দারুণ সব ধারণা দিচ্ছেন। চীন থেকে পাওয়া একমাত্র ঐ ফসিলটিই গবেষকদের এ সম্পর্কে গবেষণার সুযোগ করে দিচ্ছে। সিএনএন
[৩]পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া প্রাণীদের জীবাশ্ম নিয়ে গবেষণা করছেন এমনই একজন বিজ্ঞানী ব্রিস্টলের ইউনিভার্সিটি অব লাইফ সায়েন্স এর প্রভাষক জ্যাকব ভিনথার। তিনি বলছেন, ডাইনোসরদের ঐসব কার্যকলাপ নিয়ে অকাট্যভাবে কিছু বলা না গেলেও প্রকৃতিতে জীবিত কিছু প্রানীর সঙ্গে তুলনা করে একটা ধারণা দেয়া যেতে পারে। অধিকাংশ স্তন্যপায়ী প্রাণিদের যৌন মিলন ও মল-মূত্র ত্যাগের জন্য আলাদা অঙ্গ থাকে। আবার অনেক পাখি ও সরিসৃপ আছে যাদের একটা অঙ্গ দ্বারাই উভয় কাজ সম্পন্ন হয়। এই অঙ্গটিকে বলে ক্লোয়াকা। সাইটোকোসরাস ফসিলটি থেকে ধারণা পাওয়া যায়, ডাইনোসরদের ক্লোয়াকা ছিলো। এখনকার প্রাণিদের ক্লোয়াকার সাথে এর মিল নেই। [৪] মঙ্গলবার প্রকাশিত এক বায়োলজিকাল জার্নালের গবেষণা প্রতিবেদনের তথ্যমতে, ডাইনোসরদের এধরনের অঙ্গের উভয় দিকে সুগন্ধি গ্রন্থি ছিলো, এবং বিপরীত লিঙ্গকে আকর্ষণ করতে বিশেষ রং ধারণ করতো। সম্পাদনা: আসিফুজ্জামান পৃথিল