ফরিদ কবির : ‘গার্লিক এন জিঞ্জারে’ লাঞ্চ করতে গেছি। হঠাৎ নাঈমের ফোন। নাঈম মানে, আজকের কাগজ, ভোরের কাগজ, আমাদের সময়-এর সাবেক সম্পাদক এবং ‘আমাদের অর্থনীতি, আমাদের নতুন সময় ও আওয়ার টাইমের প্রধান সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান। মোবাইল কানে তুলতেই নাঈম জানতে চাইলো, ফরিদ, তুমি কোথায়? বললাম, আমি তো ‘গার্লিক এন জিঞ্জারে’ খেতে এসেছি ঝর্না ও মুগ্ধকে নিয়ে। নাঈম বললো, কতোক্ষণ থাকবা? আছি আরও পনেরো-বিশ মিনিট। আচ্ছা, থাকো। আমি আসতেছি। ঠিক মিনিট পনেরোর মধ্যেই নাঈম ও মন্টিভাবী চলে এলো। নাঈম আমাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে বললো, আমি কিন্তু তোমার জন্মদিন উপলক্ষে আসিনি। আমি আসছি ঝর্নাকে দেখতে। আমরা কফি খেতে মিনিট দশেক আড্ডা দিলাম। মন্টিভাবী সম্ভবত সারা পৃথিবীতেই একমাত্র নারী সাংবাদিক, যিনি এক সঙ্গে তিন-তিনটি দৈনিকের সম্পাদক। তিনি ঝর্নার হাতে একটা শাড়ির প্যাকেট দিয়ে বললেন, এটা আপনার জন্য। দেখেন তো পছন্দ হয় কিনা? প্যাকেট খুলে শাড়ি দেখে ঝর্নার মুখের হাসি আরেকটু বিস্তৃত হলো! বললো, খুব সুন্দর শাড়ি।
না। আমাদের প্রাইজ বা সারপ্রাইজ এখানেই শেষ না। ঝর্না-মুগ্ধ ও পলিকে আমার দেওয়া ট্রিটটাও নাঈম ছিনতাই করে নিজের করে নিলো। বললো, তোমার জন্মদিন উপলক্ষে তো কিছু নিয়া আসিনি। আজকের বিলটা আমিই দিয়ে দিই। এটাই তোমার গিফট। ফেসবুক ভেসে গেছে আমার বন্ধু ও শুভাকাক্সক্ষীদের শুভেচ্ছাবাণীতে। আমার মতো সাধারণ একজন মানুষের সাধারণ জন্মদিবসটি কেবল আমার বন্ধু আর শুভাকাক্সক্ষীদের কারণেই আজ বিশিষ্ট হয়ে উঠেছে। আপনার চারপাশে বন্ধু ও প্রিয়জনদের এমন সমাবেশ থাকলে বুঝতে হবে আপনি সৌভাগ্যবান। এমন সৌভাগ্যবান হলে বেঁচে থাকাটাও আনন্দের। সার্থকও। নাঈম ও মন্টিভাবীর সুবাদে আমার সকল বন্ধু ও শুভাকাক্সক্ষীকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা। আমি যেটুকু আমি হয়ে উঠেছি, তা তাদের কারণেই। ফেসবুক থেকে