মনিরুল ইসলাম : [২] আইন সংশোধন করে সংসদে বিল পাসের মধ্য দিয়ে ২০২০ সালের এইচএসসির ফল প্রকাশের বাধা দূর হলো। [৩] শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি রোববার সংসদে এ সংক্রান্ত তিনটি বিল প্রস্তাব করেন। পরে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।[৪] শিক্ষামন্ত্রীর প্রস্তাবে ইন্টারমিডিয়েট অ্যান্ড সেকেন্ডারি এডুকেশন (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল-২০২১’, ‘বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড (সংশোধন) বিল-২০২১’ এবং ‘বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড (সংশোধন) বিল-২০২১’ সংসদে পাস হয়। এরআগে, বিলগুলোর ওপর জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলোর নিষ্পত্তি করেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। [৫] শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি গত ১৯ জানুয়ারি সংসদে বিল তিনটি তোলার সময় বলেছিলেন, শিক্ষার্থীদের ফল ইতোমধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে, বিল পাস হলেই তা দ্রুত প্রকাশ করা যাবে। রোববার বিল পাসের সময় মন্ত্রী জানান, বিল পাস হলে দুই দিন লাগবে গেজেট প্রকাশ করতে, তারপর ফল প্রকাশ করা হবে।
[৬] ফল প্রকাশ হওয়ার পর এই শিক্ষার্থীদের স্নাতক পর্যায়ের বিভিন্ন উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হবে। [৭] ১১টি শিক্ষা বোর্ডের ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭৮৯ জন শিক্ষার্থীর এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল। পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল ১ এপ্রিল থেকে। পরে করোনা সংক্রমণের কারণে সরকার পরীক্ষা ছাড়াই ফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু আইনে পরীক্ষা নিয়ে ফল প্রকাশের বিধান থাকায় গতবছরের ডিসেম্বরের মধ্যে আর ফল প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি। সম্পাদনা: রায়হান রাজীব