ইমরুল শাহেদ: [৩] জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও একুশে পদক পাওয়া বরেণ্য এই অভিনেতা শনিবার সকাল ৯টায় সূত্রাপুরে নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন
[৪] ১৯৪১ সালের ১০ সেপ্টেম্বর জন্ম নেয়া মানুষটি সিনেমার খলনায়ক চরিত্রে অভিনয় করতে করতে এটিএম নামেই বিখ্যাত হয়ে যান। তিনি ছিলেন একাধারে লেখক, চিত্রনাট্যকার, সংলাপ রচয়িতা ও পরিচালক। তিনি স্ত্রী, তিন মেয়ে ও দুই ছেলে রেখে গেছেন। [৫] ক্ষণজন্মা এই অভিনেতার মৃত্যুর খবরে চলচ্চিত্রাঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে আসে। সূত্রাপুর এলাকার বাসিন্দা এবং চলচ্চিত্রের মানুষরা তার বাড়িতে জড়ো হতে শুরু করেন। [৬] অভিনেতার গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলায়। তবে সূত্রাপুরের নিজ বাড়িতেই কেটেছে তার জীবনের বিরাট একটি সময়। তারকা হলেও প্রায় জরাজীর্ণ এই বাড়িতে থাকতে সংকোচবোধ করেননি কোনোদিন। জীবনযাপনে ছিলেন একেবারেই সাদামাটা। [৭] এটিএম শামসুজ্জামানের চলচ্চিত্র জীবনের শুরু ১৯৬১ সালে। ৭৬ সালে আমজাদ হোসেনের ‘নয়নমণি’ চলচ্চিত্রে খলনায়কের চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে আলোচনায় আসেন তিনি।
[৮] নারিন্দার পীর সাহেব জামে মসজিদে বাদ জোহর নামাজে জানাজার পর তাকে জুরাইনে দাফন করা হয়। [৯] রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ শোক বার্তায় বলেন, এই মৃত্যু দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, চলচ্চিত্র শিল্পে অসাধারণ নৈপুণ্য প্রদর্শনের জন্য তিনি দেশের জনগণের অন্তরে আজীবন স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব