আসিফুজ্জামান পৃথিল: [২] ৬৯ বছর আগে রক্তপলাশ ঢাকা ঢাকার রাজপথে রক্ত দিয়েছিলেন বাংলা মায়ের সন্তানেরা। এই শোণিত ধারা যে বাঙালি জাতীয়তাবাদের জন্ম দিয়েছিলো, সেটিকে পুঁজি করেই ১৯ বছর পর বিশ্বের বুকে মাথা তুলে দাঁড়ায় একটি নতুন দেশ, বাংলাদেশ। [৩] আজকের দিনে বাঙালির শহীদ দিবস পরিণত হয়েছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে। ২১ বছর ধরে সারা বিশ্বে এই দিবসটি পালন করছে ইউনেস্কো। মায়ের ভাষায় কথা বলা, তাকে লালন করা, নিজ সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করা প্রতিটি মানুষের অধিকার। বজ্রকণ্ঠে তা জানান দেয় ২১ ফেব্রুয়ারি। [৪] এবছরের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রতিপাদ্য, ‘শিক্ষা ও সমাজে বহুভাষার বিকাশ’। বাংলাদেশ ছাড়াও রাষ্ট্রীয়ভাবে দিবসটি পালন করবে কানাডা, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র। বাণী দিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব ও ইউনেস্কো প্রধান। [৫] শুধু মায়ের ভাষায় কথা বলতে চাওয়ার জন্য রক্ত দেওয়ার ইতিহাস পৃথিবীতে বিরল। ঢাকার ধারাবাহিকতায় আসামের শিলচরেও মাতৃভাষার অধিকার রক্ষায় প্রাণ দিয়েছিলেন ৯ জন। আর নিজ ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠায় ১৯৬০ সালে প্রাণ দিয়েছিলেন এক অহমিয়া। পৃথিবীর সকল ভাষা মায়ের মতো আগলে রাখুক তার সন্তানদের। প্রতিটি ভাষাই মর্যাদা পাক, চিরজীবী হোক। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব