শিমুল মাহমুদ: [৪] আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউটের ভাষা শুমারির তথ্য বলছে, দেশে বাংলা ভাষা ছাড়াও বার্মা, মালতো, খড়িয়া, গাড়ো, সাঁওতালি, সৌরা, কোড়া, মণ্ডারী, কোল, মাণ্ডো, খুনি ও পাঙ্কুয়াসহ প্রায় ৪০টি ভাষা-ভাষীর মানুষ রয়েছে।
[৫] আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. জীনাত ইমতিয়াজ আলী জানান, একসময় প্রায় ১ হাজারের বেশি মানুষ ‘ছোঁওরা’ ভাষায় কথা বলতো। বর্তমানে মাত্র ৪ জন এই ভাষায় কথা বলতে পারে। [৬] ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সৌরভ সিকদার বলেন, ভাষাকে টিকিয়ে রাখতে হলে মাতৃভাষায় প্রাথমিক শিক্ষার সুযোগ তৈরি করতে হবে। [৭] ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ভাষা সংরক্ষণে অবদানের জন্য প্রথম আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা জাতীয় পদক পাওয়া খাগড়াছড়ির মথুরা বিকাশ ত্রিপুরা বলেন, সরকারের বহু উন্নয়ন প্রকল্প আমরা দেখেছি, পাইলটিং আর অব্যবস্থাপনায় সেসব সফল হয় না।
[৮] এনসিটিবি থেকে পাঁচটি ভাষায় পাঠ্যবই দিয়েই দায়িত্ব শেষ করা হয়েছে। এসব ভাষার শিক্ষক পদায়ন করা হয়নি। পড়ানোর লোক না থাকলে শুধু বই দিয়ে রেখে লাভ কী? চাকমা পাংখুয়া, কুনি, রাহান, রেমিট্রা- এসব ভাষায় অতি স্বল্প ভাষাভাষী রয়েছে। তারা মারা গেলে এসব ভাষা হারিয়ে যাবে। তাহলে এসব ভাষার কী হবে? সম্পাদনা: রায়হান রাজীব