সমীরণ রায়: [৪] রোববার শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানিয়েছে বাঙালি জাতি। তবে করোনা মহামারির কারণে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদনের আয়োজনটি ছিলো সীমিত পরিসরে। [৫] প্রতি বছর একুশের প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানান। কিন্ত এবছর রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের পক্ষে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহউদ্দিন ইসলাম। আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল নকিব আহমদ চৌধুরী শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর পক্ষ থেকেও জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সার্জেন্ট অ্যাট আর্মস এম এম নাঈম রহমান পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। [৬] আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার পক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন দলের সিনিয়র নেতারা।
[৭] শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ শাহীন ইকবাল। [৮] পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন শ্রদ্ধা জানান। [৯] হুইলচেয়ারে করে আসা যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধারা শহীদদের শ্রদ্ধা জানান। শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান।
[১০] শ্রদ্ধা জানান আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলের নেতারা, সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা জি এম কাদের, ডিএসসিসির মেয়র ফজলে নূর তাপসসহ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা।
[১১] বিএনপি, জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ, বাসদ ও ন্যাপসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সহযোগী সংগঠন, ছাত্র সংগঠন, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ছাত্র, যুব, শ্রমিক, কৃষক সংগঠনের নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। [১২] শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন ছাড়াও সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে আলোচনা সভা, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কন, প্রতিযোগিতাসহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ভাষা শহীদদের স্মরণে অর্ধনমিত রাখা হয় জাতীয় পতাকা। সম্পাদনা: রায়হান রাজীব