আরিফুজ্জামান তুহিন : একজন নারীর দিকে যখন শাসকশ্রেণির বুট ধেয়ে আসে তখন কথিত নারীবাদীরা চুপ থাকেন। যখন মিছিলে অংশ নেওয়া নারীকে পিটিয়ে থেতলে দেওয়া হয় তখন তারা এসিরুমে বসে সোভিয়েত দেশে নারী বিষয়ে আলোচনা অনুষ্ঠানের ডাক দেন। যখন যুবক ও যুবতীরা কারাগারে যায়, তারা মুষ্টিবদ্ধ হাত ওপরে তুলে লাল সালাম দেখান তখন তারা কু কু করে বৃষ্টিবিলাপ করেন রবী ঠাকুরের কোনো গানের সাথে। আর বিদ্রোহ ও বিপ্লবের স্বরে যখন বিদ্রোহীরা জান ও জবানের লড়াইয়ের ডাক দেন তখন তারা তাকে সা¤প্রদায়িক দেগে দেন, যাতে বিদ্রোহীরা সব জামায়াত হয়ে যায়। এভাবেই তারা তাদের দলীয় খেজুর গাছে রাখা রসের হাড়িটা বাচিয়ে রাখেন। এভাবে সফট টার্গেট করে একসময় গোটা আন্দোলনকে জামায়াত-শিবির বানিয়ে দেওয়া হয়। ঠিক ভারতে এভাবে কৃষক আন্দোলনকে কখনোা খালিস্তান, কখনো পাকিস্তান, কখনো মাওবাদী টুকরে টুকরে গ্যাং বলে বিজেপি আরএসএস সংঘ পরিবার।দুই দেশে কায়দা একইরকম। জনগণের আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার এ চেষ্টা নসাৎ করবে খোদ জনগণ। মূলত আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্যই তারা আন্দোলেনর ¯েøাগানকে সা¤প্রদায়িক ট্যাগ দিচ্ছে। জান ও জবানের স্বাধীনতার লড়াইয়ে তাই আমরা তাদের চিনে রাখব।