ইসমাঈল ইমু: [৩] ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল ও লেখক মুশতাক আহমেদের কারাগারে মৃত্যুর প্রতিবাদে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সমাবেশ পন্ড করে দিয়েছে পুলিশ। প্রেসক্লাবের সামনে দুপুরে পূর্বঘোষিত কর্মসূচির জমায়েত শুরুর আগেই পুলিশ লাঠিপেটা করে ও কাঁদুনে গ্যাস ছুঁড়ে নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এই ঘটনায় ছাত্রদলের সহসভাপতি মামুন খানসহ অর্ধ শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ছাত্রদলের বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে।
[৪] রোববার প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখতে প্রেসক্লাবে আসেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সকাল ১১টায় দলটির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল প্রেসক্লাব চত্বরে এসে পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেন। পুলিশ তাকে অনুমতি ছাড়া সমাবেশ করা যাবে না বলে জানিয়ে দেয়। এসময় ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামলসহ নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
[৫] পুলিশের সঙ্গে কথা বলার পরপরই সোহেল প্রেসক্লাবের মূল গেইট দিয়ে বাইরে এসে ফুটপাতে নেতা-কর্মী নিয়ে সমবেত হন। তখন পুলিশ অ্যাকশনে যায়, শুরু হয় লাঠিপেটা। ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা প্রেসক্লাব চত্বরে আশ্রয় নিয়ে প্রতিবাদ জানাতে থাকে। সেখান থেকে পুলিশের ওপর ইটপাটকেল ছুড়ে কেউ কেউ। পরে পুলিশের একটি দল প্রেসক্লাবের ভেতরে ঢুকেও লাঠিপেটা করে এবং কয়েক রাউন্ড কাঁদুনে গ্যাস ছুড়ে।
[৬] পুলিশের রমনা জোনের ডিসি সাজ্জাদুর রহমান বলেন, প্রেসক্লাবের সামনের সড়ক গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় এখানে সমাবেশের জন্য অনুমতির প্রয়োজন হয়। কিন্তু তারা অনুমতি না নিয়ে সমাবেশের চেষ্টা করে এবং প্রেসক্লাবের ভেতর থেকে ইটের টুকরা ছোড়ে। এতে পুলিশের কয়েকজন সদস্যও আহত হয়েছেন। সম্পাদনা: রায়হান রাজীব