আমিরুল ইসলাম : [৩] মানবাধিকারকর্মী খুশি কবির বলেন, লিঙ্গবৈষম্য সূচকে আমরা অনেক এগিয়েছি, এটা অবশ্যই সঠিক। এ ব্যাপারে কারও কোনো দ্বিধা বা প্রশ্ন থাকার কথা নয়।
[৪] কর্মক্ষেত্রে সন্তান রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে না। স্কুল কলেজ ও কর্মক্ষেত্রে নারীবান্ধব পরিবেশ তৈরি হচ্ছে না। বাল্যবিবাহে আমরা পৃথিবীতে চতুর্থ অবস্থানে। [৫] ওয়াজ মাহফিলে নারীর ওপর সহিংসতা উস্কে দেওয়া হয় এবং নারীকে পণ্য হিসেবে দেখা হয়, এসব বন্ধ করতে হবে। চিন্তা ও মূল্যবোধের ক্ষেত্রে পরিবর্তন করতে হবে। [৬] সকল স্তরের কর্মক্ষেত্রে নারীর নিরাপত্তাহীনতা অনেক বেশি। নারীকে মর্যাদা দেওয়া হচ্ছে না। উত্তরাধিকার ও সর্বক্ষেত্রে নারী পুরুষের সমান অধিকার পাওয়ার ব্যাপারে যুগের সঙ্গে সমন্বয় রেখে ধর্মীয় আইন পরিবর্তন করা প্রয়োজন। [৭] বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা. মালেকা বানু বলেন, ধর্ষণের শাস্তি সর্বোচ্চ মৃত্যুদ- রাখা হলেও বিচারহীনতার একটি সংস্কৃতি আমরা দেখতে পাচ্ছি। অপরাধীকে বিচারের আওতায় আনা যাচ্ছে না। ধর্ষণের শিকার নারীর ওপর সমাজ এখনো সংবেদনশীল নয়। সমাজ অপরাধীকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য নানাভাবে চেষ্টা করে। [৮] আমাদের আইন প্রণেতা ও বাস্তবায়নকারীদের মধ্যে জেন্ডার সংবেদনশীলতা, মাবাধিকারের দৃষ্টিভঙ্গি ও সমতার ধারণা পরিস্কার নয়। সম্পাদনা: রায়হান রাজীব