বাশার নূরু: [৪] প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নারীর অধিকার দাও, নারীর অধিকার দাও- বলে চিৎকার করে বক্তব্য দিলেই হবে না। খালি আন্দোলন করলেই অধিকার আদায় হয় না। অধিকার আদায় করে নিতে হবে। সেটা আদায় করতে যোগ্যতা লাগবে। সে যোগ্যতা শিক্ষা-দীক্ষা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আসবে। [৫] আন্তর্জাতিক নারী দিবসে সোমবার শিশু একাডেমি মিলনায়তনে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ অনুষ্ঠানে যুক্ত হন। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা পুরস্কার প্রাপ্তদের হাতে সম্মাননা পদক, এক লাখ টাকার চেক, ক্রেস্ট ও সনদ তুলে দেন। [৬] শেখ হাসিনা বলেন, মেয়েদের এমন শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে হবে। যাতে তারা ভবিষ্যৎ জীবনে আদর্শ গৃহিণী, জননী ও নারী হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে পারে। জাতীয় সংসদে স্পিকার, সংসদ নেতা, উপনেতা, বিরোধী নেতা সব নারী। এভাবে রাজনীতিসহ বাংলাদেশের সর্বক্ষেত্রে নারীরা এগিয়ে আসছে। অচলায়তন ভেদ করে মেয়েরা এগিয়ে যাচ্ছে। এটি সবচেয়ে বড় সফলতা। [৭] তিনি বলেন, বাংলাদেশ নারী-পুরুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলেছে। আমাদের জাতীয় উন্নয়নের প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে আমরা নানামুখী পরিকল্পনা ও পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। [৮] প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছি। নারী-পুরুষ সকলে মিলে প্রিয় দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবো। আমরা উচ্চ আদালতেও নারীদের নিয়ে এসেছি। সেনাবাহিনী, নৌ বাহিনী, বিমান বাহিনী, বর্ডার গার্ডসহ সব বাহিনীতে নারীদের অংশ নেওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে। বিদেশি কূটনৈতিক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিও নারীরা হচ্ছেন। সম্পাদনা: রায়হান রাজীব