নুরুল আজিজ: [২] সোমবার দুপুর সোয়া একটার দিকে বিআইডব্লিউটিএ’র উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয় নদীর তলদেশ থেকে টেনে লঞ্চটি নদীর পূর্ব তীরে নিয়ে রাখে। লঞ্চের ভেতর থেকে শিশু, নারী ও পুরুষের ২৩ লাশ উদ্ধার করা হয়। ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ৩ টি লাশ। রোববার রাতে ৫ নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছিল। নিহতদের মধ্যে নারী ১৬ জন, পুরুষ ৯ জন ও শিশু ৪ জন।
[৩] সোমবার বিকালে আর কোন লাশ না পাওয়ায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্ধার কাজ সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়। ্
[৪] নির্মণাাধীন তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতুর ১৬ নম্বর পিলারের নিরাপত্তকর্মী মোহাম্মদ হালিম বলেন, রোববার সন্ধ্যায় এসকেএল-৩ (এম: ০১২৬৪৩) নামের একটি কোস্টার জাহাজ পেছন থেকে ধাক্কা দিয়ে অন্তত ২০০ মিটার রাবিত আল হাসান নামের লঞ্চটিকে টেনে নিয়ে যায়। এরপর লঞ্চটি যাত্রীসহ ডুবে যায়।
[৫]লঞ্চডুবির ঘটনায় জেলা প্রশাসন ও অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খাদিজা তাহেরা ববিকে প্রধান করে সাত সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন জেলা জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ। অন্যদিকে বিআইডব্লিউটিএর পরিচালক নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক মো রফিকুল ইসলামকে প্রধান করে চার সদসস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
[৬] ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক (ঢাকা) মো. সালেউদ্দিন বলেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্ধার অভিযান শেষ করা হলেও ফায়ার সার্ভিস অভিযান চলমান রেখেছে। যতক্ষণ পর্যন্ত নিখোঁজ ব্যক্তিদের তথ্য পাওয়া না যাবে ততক্ষণ পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চলবে। সম্পাদনা: বাশার নূরু