ফিরোজ আহমেদ : কয়েকদিন ধরে অজ¯্র বন্ধু, আত্মীয় এবং স্বজনের অনুরোধ পাচ্ছি, হাসপাতালে একটু জায়গার ব্যবস্থা করার জন্য, আইসিইউতে খোঁজ নেওয়ার জন্য। এরকম মর্মান্তিক ও অসহায় অবস্থায় নিশ্চয়ই আপনারাও প্রায় সকলেই আছেন। এই পরিস্থিতির ভয়াবহতাই কিছু কথা দাবি করে। কেননা বাংলাদেশে করোনা নিয়ন্ত্রণের নামে যা কিছু করা হয়েছে, তার মতো অপেশাদার, দায়িত্বহীন এবং লুটেরা মনোবৃত্তির আর কিছু সম্ভব নয়। কয়েকটা ছোটছোট প্রসঙ্গ : [১] যেটা সবাই বলছেন, এক বছর সময় পেয়েছেন, হাসপাতালে কেন আইসিইউর ব্যবস্থা করতে পারেননি? কেন উপজেলা পর্যায়ের রোগীকে হাইফ্লো অক্সিজেন দিতে জেলা শহরে আসতে হবে?
[২] দুই দুইজন স্বাস্থ্য সচিবকে তো বদলালেন। জরুরি পরিস্থিতিতে এমন বদল মানে এইটা স্বীকার করে নেয়া যে, এরা চরমভাবে ব্যর্থ ছিলেন। এই জবাবটা কবে দেবেন যে, স্বাস্থ্য সচিব বা অন্য কোনো সচিবের এই বিষয়টা বোঝার বা জানার কথা নয়। সবিচদের করার কথা কতোগুলো দাফতরিরক কাজ। নীতিনির্ধারণ করবেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। দুনিয়ার সকল দেশে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে জনস্বাস্থ্যবিদ, সংক্রামক ব্যধি বিশেষজ্ঞদের পাওয়া যায়। আমাদের দেশে কেন তারা স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ে- যেখানে স্বাস্থ্য বিষয়ক সকল নীতি নির্ধারণ হয়- অনুপস্থিত?[৩] ঠিকাদারদের রাজত্ব চলা স্বাস্থ্যখাতে দামি দামি জিনিসপত্র কেনা নয়, প্রয়োজনীয় উপকরণগুলোকে ন্যায্য দামে কেনা, এটা কি এই লুটেরাতন্ত্রে কি সম্ভব? এই বিষয়গুলোকে না ভাবলে, না কথা তুললে আমরা কি আমাদের জিম্মি করা এই ব্যবস্থা থেকে মুক্তি পাবো? [৪] অসুখের মতোই, কিংবা হয়তো তারও চাইতে বড় বিষয় রোগের সামাজিক ব্যবস্থাপনা। কর্মহীন মানুষগুলোকে জিডিপির ছক খাওয়ালে চলবে না, তাদের কর্মসূচি কোথায়? [৫] নির্বাচনের ঠ্যাকা নাই, এমন একটা সরকারের কি ঠ্যাকা আছে আপনার স্বাস্থ্য নিয়ে ভাববার?