সমীরণ রায়: [৪] করোনা সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়ায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় গত সোমবার থেকে সারাদেশে ৭ দিনের লকডাউন ঘোষণা করে। এতে সরকারী, আধাসরকারী, স¦ায়ত্ত্বশাসিত, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সীমিত পরিসরে চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু গণপরিবহন না থাকায় সারাদেশের অফিসগামী যাত্রীরা পড়েন বিপাকে। পরিবহন চলাচলের দাবি করেন সাধারণ মানুষ ও পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা। এই পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকার গণপরিবহন চলাচলের বিষয়টি শর্ত সাপেক্ষে পুনর্বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। [৫] সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের মঙ্গলবার তার বাসভবনে এক ব্রিফিংয়ে বলেন, ঢাকা, চট্টগ্রাম মহানগরসহ গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, রাজশাহী, খুলনা, সিলেট, বরিশাল, রংপুর ও ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন এলাকায় অর্ধেক আসন খালি রেখে গণপরিবহন চলাচলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। [৬] মন্ত্রী বলেন, প্রতি ট্রিপের শুরু ও শেষে জীবাণুনাশক দিয়ে গাড়ী জীবাণুমুক্ত এবং পরিবহন সংশ্লিষ্ট ও যাত্রীদের বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধান, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। কোনোভাবেই সমন্বয়কৃত ভাড়ার অতিরিক্ত আদায় করা যাবে না। করোনা সংক্রমণ বিস্তাররোধে সরকারের নির্দেশনাসমূহ যথাযথভাবে প্রতিপালনে পরিবহন মালিক শ্রমিক ও যাত্রীসাধারণের সহযোগিতা কামনা করেন মন্ত্রী। [৭] বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, সরকারের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। সরকার খুব শিগগিরই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছে। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব